সাভারের আশুলিয়ায় এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের ঘরে ঢুকে তাকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করেছে স্থানীয় বখাটেরা। শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) আশুলিয়ার গোছারারটেক এলাকায় মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, অনৈতিক কাজের ভুয়া অভিযোগ এনে এলাকার ‘বখাটে’রা তৈরি পোশাক কারখানার এক শ্রমিকের ঘরে ঢুকে তাকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করে। এছাড়া বখাটেরা শুক্রবার রাতভর তাকে আটকে রেখে মারধরের পর তার কাছে থাকা দামি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ঐ ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী নারী ঢাকার রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ওয়ান গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার মাঝবাড়ী গ্রামে।
ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল রাত ৮টার দিকে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী থেকে দুই প্রতিবেশী রেজাউল ইসলাম ও আকাশ আমার বাসায় বেড়াতে আসে।
এ সময় এলাকার চিহ্নিত বখাটে শাকিল, সোয়াদ, শাহিন, শফিক, রাফিসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন জোরপূর্বক আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমি অনৈতিক কাজ করছি বলে জানায়। এতে বাধা দিতে গেলে আমার প্রতিবেশী দুই ভাই ও আমাকে মারতে থাকে তারা।
এক পর্যায়ে আমাদের কাছে থাকা দামি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ টাকাসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের রাতভর একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে বখাটেরা।
এমনকি শনিবার সকালের মধ্যে ২০ হাজার টাকা না দিলে পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে তাদের দলের প্রধান মনসুর ভাই বিচার করবেন বলেও হুমকি দেন।
তিনি আরও জানান, পরে শনিবার সকালে বখাটেরা এসে তাদের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বখাটেরা। এতেও সম্মতি না দিলে পরবর্তীতে তাকে বেধরক পেটাতে থাকে তার।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় তিনি আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঐ নারী শ্রমিককে মারধর ও লাঞ্চিত করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।