Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির ‘দামের আগুন লাগা’ ভাব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪৩ PM
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


শীতের সবজির জন্য এখন আর কনকনে শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এখন শীত শুরুর অনেক আগে থেকেই বাজারে ঠাই পায় শীতের সবজি।শীতের আগে বাজারে শীতের সবজি উঠলেও এসব সবজির দামে থাকে আগুন লাগা ভাব। শীতের হালকা হাওয়া বওয়ার সাথে সাথে কমতে শুরু করেছে বেশ কয়েক মাস ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া আগাম সবজির দাম ।

আজ রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল বাজার, মোহাম্মদপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজারে। এখানে অন্যান্য বাজারের তুলনায় সবজির দাম বেশি। এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারটিতে ঢাকার আশপাশ থেকে আসা সেরা মানের সবজি বিক্রি হয়। এ কারণে দাম অন্যান্য জায়গার চেয়ে বেশি।

এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশ কয়েক মাস ধরে শীতের আগাম সবজি শিম বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকায়। তবে আজ কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

শীতের আরেক আগাম সবজি টমেটো। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। তবে এ সপ্তাহে প্রতি কেজি টমেটোতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

গত সপ্তাহে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকায়। এ সপ্তাহে ১০-১৫ টাকা কমে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।প্রতি পিস পাতাকপি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। এ সপ্তাহে প্রতি পিসে ৫-১০ টাকা কমে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

শীতের আগাম সবজির দাম কমার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা শাহেদ আলী বিডিমর্নিংকে বলেন, ঢাকায় এখনো শীতের আমেজ না থাকলেও গ্রামে মোটামুটি শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শীতের প্রভাবে সেখানে সবজি উৎপাদন ভালো হচ্ছে। এর ফলে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে শীতের আগাম সবজির দাম কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহের মত প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যা গত দু’সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। আর আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজও গত সপ্তাহের মত ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গত সপ্তাহের মত প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২-২৬ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে একই দামে। বাজারে প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, প্রতি কেজি ওস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, প্রতি হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়, প্রতি কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, প্রতি কেজি মোগল শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

এদিকে কাঁচা মরিচের দামও কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়।

গত সপ্তাহের মত স্থিতিশীল আছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়। তবে কিছুটা কমেছে কর্ক মুরগির দাম। প্রতি কেজি কর্ক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়ছিল ২১০ টাকায়।

এদিকে গত সপ্তাহের মত একই দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ডিম। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

ডিমের দাম সম্পর্কে কারওয়ানবাজারের ডিম বিক্রেতা কাদের বিডিমর্নিংকে বলেন, মানুষ পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। তাই ডিমের চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা যে হারে বেড়েছে সে হারে সরবারাহ বাড়েনি। তাই দাম কিছুটা বেশি।

বাজারে প্রতি আটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, প্রতি আটি মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। প্রতি হালি লাউ শাকের ডগা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৭০-৫০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।

রাজধানীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই মানভেদে ২৪০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-২০০, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৪৫০-৫০০, বেলে ৩৬০-৫০০ টাকা, বাইন ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০০-৩০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৬০০ টাকা, মলা ৩২০-৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৮০০, দেশি মাগুর ৫০০-৭০০ টাকা, শোল ৫০০-৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

Bootstrap Image Preview