Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

`অন্যরা যেটা স্বপ্ন মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী সেটা বাস্তবে রূপ দেন'

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩১ PM
আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: বিডিমর্নিং


আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অন্যরা যেটা অবাস্তব, স্বপ্ন মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী  সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। প্রধানমন্ত্রী সারাদিন উন্নয়নের কথা বলেন। আর রাত্রেবেলা তার বাবার বইগুলো এডিট করেন।

আজ  মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির (রাস) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ: বর্তমান সরকারের মূল্যায়ন (২০০৯-২০১৮)’ শীর্ষক এ সেমিনারে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ ও আগামীর পথ নকশা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী কিভাবে তার সময় কাজে লাগান সেটি উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য যদি মিটিং করতে বলা হয়। তাহলে তিনি(প্রধানমন্ত্রী) তার সারাদিনের অন্য কাজের মধ্যে থেকে সময় বের করবেন। প্রধানমন্ত্রী সারাদিন দেশের উন্নয়ন কিভাবে হবে সেটা চিন্তা করেন। উনি আর অন্য কিছু চিন্তাই করেন না। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান আকারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক নয় অর্থনৈতিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানের শাসন শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু  বাঙালি জাতিকে আত্মমর্যাদার সাথে চলার পথ প্রদক্ষিণ করে গিয়েছেন।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি সমৃদ্ধ, উন্নত দেশ গড়ার ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন।’

প্রতিশ্রুত সাহায্যের উপর ভিত্তি করে আমাদের বাজেট প্রণয়ন করা হতো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশ একটি জাতির জন্য সেটা কত লজ্জা ছিল সেটা বলার নাই। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করেন এবং তার সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করে।

সে সময়কার সরকারের উন্নয়নের  বর্ণনা দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যমুনা নদীর উপর  সেতু স্থাপনসহ যোগাযোগের ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়। বয়স্ক ভাতা এবং ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন ভাতা প্রণয়ণের ফলে সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়। বন্ধ কল-কারখানা চালুকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরির ফলে রফতারি ও  এবং বৈদেশিক মুদ্রা রির্জাভ বাড়তে থাকে।

তত্ত্বাবধায়ক  সরকারকে মিলিটারি সাপোর্টেড উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠন করেন। তারপর থেকে বাংলাদেশের  ভবিষ্যৎ বদলাতে থাকে। ২০০৬ সালে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। এখন বাজেটের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার আজকে সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫১ মার্কিন ডলার। এসময় জিডিপি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

পদ্মা সেতুর বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু দেওয়া তো দূরের কথা আগেই বলে উঠলো এটাতে দূর্নীতি হয়েছে। অর্থ দিতে অস্বীকার করলো। এ বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওনাদের অর্থ দিতে নিষেধ করো। আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু করবো।প্রধানমন্ত্রী একটি হতদরিদ্র দেশকে সারাবিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। যার স্বীকৃতি মিলেছে। বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হোক সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাসের সভাপতি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন মোল্যার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান।

Bootstrap Image Preview