Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১০ PM
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১০ PM

bdmorning Image Preview


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন (ডানমান) চার দিনব্যাপী সপ্তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘের (ডিইউমুনা) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (২১ অক্টোবর) ২টা ৩০ মিনিটের দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউমুনা) আয়োজনে এই সম্মেলন শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান। এ ছাড়া, বিশ্বব্যাংকের লিড অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হুসেইন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. সাদেকা হালিম, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের যোগাযোগ ও জনসংযোগ পরিচালক কাজী রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউমুনা) এর আ্যালামনাই ফায়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান মোঃ শামসুর রাহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের লিড অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হুসেইন ড. জাহিদ হুসেইন বলেন, ২০১৫ সালে ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের প্রণীত ১৭টি এসডিজি অভীষ্ট গ্রহণ করেছিল এবং জাতিসংঘের এসডিজি রিপোর্ট ২০১৮ অনুযায়ী মানুষের জিবন জিবন ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। মৃত্যু এবং অপমৃত্যুর হার কমেছে, সর্বসাধারণের কাছে নিরাপদ জ্বালানি শক্তি পৌছানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুখের কথা, এখনও প্রতি বছর ৩৮ লক্ষ মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে, ২.৩ কোটি মানুষ নিরাপদ পয়নিষ্কাশন ব্যাবস্থা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে, জ্বালানি শক্তিতে কার্বনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এর কারণ হল এখনও আমরা এসডিজিকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রয়োগ করতে পারিনি।

ডীন ড. সাদেকা হালিম বলেন, এখনও আমরা অর্থনৈতিক রাজনীতিতে নারীদের পণ্য করার মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারিনি। আমাদের দেখতে হবে যেন দেশ, জাতি, বর্ণ ভেদে সকলের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে জলবায়ু, ইতিহাস মাথায় রাখা খুব জরুরী।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ ২০১৮ একটি সম্মেলন যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি। ডানমান ২০১৮- এ দেশে ও দেশের বাইরে নাইজেরিয়া, লেবানন, সোমালিয়া, ভারত, নেপাল ও আফগানিস্তান থেকে সর্বমোট পাঁচশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এ বছরের সম্মেলনটি 'অর্থনৈতিক নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধি' বিষয়বস্তুর ওপর সংগঠিত হবে যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি সরূপ তরুণেরা ১১ টি কমিটির সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।

বর্তমানে, এশিয়ার বৃহত্তম ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের আয়োজক, জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র জ্ঞান সহযোগী এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশ এবং ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টার এই সম্মেলনের কৌশলগত সহযোগি হিসেবে কাজ করছে। বিডিমর্নিং সম্মেলনটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করছে।

Bootstrap Image Preview