Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বর্তমানে দেশের সবাই আওয়ামী লীগ: কাদের সিদ্দিকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৩ PM
আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বর্তমানে দেশের সবাই আওয়ামী লীগ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমি ছাড়া কোন আওয়ামী লীগ তার পাশে ছিলো না বলে মন্তব্য করেছেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

রবিবার বিকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড়ে কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর না, এ নৌকা বঙ্গবন্ধুর না। এ নৌকা মতিয়ার, এ নৌকা মুক্তিযোদ্ধাদের খুনী ইনুর। দেশে নির্বাচন হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টির বেশি সিট পাবে না। যে ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর ঘোষণা দেয়, এই আওয়ামী লীগ তাকেই মন্ত্রী পরিষদ সদস্য করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেবো নীতি চলছে। মানুষ নিজের ইচ্ছামত সিল মারতে পারছে না। জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ এক হাজার বছর ক্ষমতায় থাকুক, কিন্তু ভোট ছাড়া একদিনও ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনে কোনো জোটে যাবার চিন্তা আমার নাই। আমার জীবনে কোনো প্রেম ছিলো না। বঙ্গবন্ধুই আমার প্রেম, দেশই আমার প্রেম।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট বিষয়ে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে আমি দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে একটি ঐক্যের প্লাটফর্ম তৈরি হলেও নিজেদের মধ্যেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থাক, না তা থাকবে না। তাই বাপ-বেটা-শ্বশুরকে বের করে দিয়েছে।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, “দেশ এখন দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ টাকা এমন কিছুই না।’ অথচ মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য খেটে খাওয়া মানুষের কোমড়ে দড়ি বেঁধে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।”

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উপজেলা সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা সভাপতি শহীদুল ইসলাম মুন্সী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক কাওছার জামান খান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের ও গুরুদাসপুর উপজেলা সভাপতি সোহরাব হোসেন।

Bootstrap Image Preview