Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রেক্সিট নিয়ে আবারও গণভোটর দাবিতে লন্ডনের রাস্তায় লাখো জনতা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:১৫ PM
আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয়বার গণভোটের দাবিতে লন্ডনের রাজপথে নামেন লাখ লাখ ব্রিটিশ। গতকাল শনিবারের এই আন্দোলনটি ছিল ব্রেক্সিট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমাবেশ। আয়োজকরা গার্ডিয়ানের কাছে দাবি করে, সমাবেশে সাত লাখ লোক মিছিল সহকারে পারলামেন্ট স্কায়ারে গিয়ে সমাবেত হয়।

যুক্তরাজ্য আগামী বছরের মার্চ মাসে ইইউ ত্যাগ করতে যাচ্ছে। কয়েক মাস আলোচনার পর দেশটির প্রধান দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিভেদ দেখা দিয়েছে। কনজারভেটিভরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন আর কীভাবে ইইউ ছাড়া হবে তা নিয়ে লেবার পার্টিও দ্বিধান্বিত হয়ে আছে। তবে দুই দলের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দ্বিতীয়বার গণভোট করার সময় পর্যাপ্ত সময় কি আসলেই আছে?

শনিবার আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল ইইউয়ের নীল ও সোনালি পতাকা। ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল আরেকটি গণভোটের দাবির কথা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আন্দোলনে আবারও চাপের মুখে পড়বেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রাসেলকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনায় ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

গতকালের এ সমাবেশ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এমনকি অনেক খ্যাতমান তারকারাও অংশ নেন এ সমাবেশে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান, স্যার ভিন্স কেবল এমপি, চুকা উমা এমপি, ক্যারোলাইন লুকাস, অ্যানা সোবরি এমপি, বিখ্যাত সেফ ডেলিয়া স্মিথ, টেলিভিশন  সেলিব্রেটি ড্রাগনস ডেন বিজনেস উইম্যান খ্যাত ডেবোরা মেইড্যান, বিখ্যাত সেলিব্রেটি লর্ড অব দ্য রিং এর স্টার অ্যান্ডি সেরকি। সমাবেশে স্কটিশ ফাস্ট মিনিস্টার নিকোল স্ট্যাজেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন। 

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ সময় তীর্যক এবং রসাত্মক ভাষায় ব্রেক্সিটের সমালোচনা করে বলেন, এই ব্রেক্সিট হয় খুব খারাপ এক চুক্তির দিকে এগুচ্ছে, না হয় আরও প্রচণ্ড খারাপের দিকে যাচ্ছে কিংবা কোনো চুক্তি ছাড়াই এগুচ্ছে।

গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের চেকার্সে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রেক্সিটের জন্য থেরেসা মে যেসব শর্তের খসড়া লিপিবদ্ধ করেছিলেন সেগুলোর বিষয়ে ইইউ নেতারা অস্ট্রিয়ার সালজবার্গে বৈঠকে বসেছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সেখানে থেরাসে মের অনুপস্থিতিতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তার পরিকল্পনা সফল হবে না। মূল সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে ইইউ সদস্য রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড অংশের মধ্যে বাণিজ্যের শর্ত নির্ধারণ নিয়ে।

আইরিশ সীমান্তের বিষয়ে ইইউয়ের পরামর্শ হচ্ছে- নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় বাজারের অংশ হিসেবে থাকবে। আর বাকি যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিকভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে যুক্তরাজ্যকে বিভক্ত করে ফেলবে।

Bootstrap Image Preview