Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবার মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন বাচ্চুপুত্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০১:২৬ PM
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


উপমহাদেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট বাংলা সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তী। যিনি নিজেই ছিলেন নিজের উদাহরণ। তিনি তার গিটারের সুরের জন্য উপমহাদেশে জায়গা করে নিয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ আসন। সবাইকে কাদিয়ে বৃহস্পতিবার উড়াল দিলেন অজানা পৃথিবীতে। তাকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল পুরো দেশ। শোকে মুহ্যমান দেশের সংগীত অঙ্গনও। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের শিল্পীরাও।

বাবাকে হারিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাসে দিয়েছেন দেশের বাইরে থাকা আইয়ুব বাচ্চুর বড় ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব তার ।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি আশা করি আপনি যেখানেই থাকুন ঠিক আগের মতোই এইরকম করে হাসছেন। আমি আপনাকে ভালোবাসি, আপনাকে ছাড়া পৃথিবীটা খালি মনে হচ্ছে। যারা এই লেখা পড়ছেন তারা আমার বাবার মৃত আত্মার জন্য প্রার্থনা করুন।’

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।তার সংগীতজগতে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। তার কণ্ঠের প্রথম গান- ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি তার জীবনে সফলতা বয়ে না আনলেও ১৯৮৮ সালে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ তার জীবনে সফলতার দ্বার উন্মোচন করে।

১৯৯১ সালে বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠন করে। এই ব্যান্ড গঠনের পর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে।

পরবর্তী সময়ে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ ও ‘তবুও’ বের হয়। ১৯৯৫ সালে তিনি বের করেন তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামের একটি বলে অভিহিত করা হয় এটিকে। একই বছর তার চতুর্থ ব্যান্ড অ্যালবাম ‘ঘুমন্ত শহরে’ প্রকাশিত হয়।

‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ তার বাংলা ছবির অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান। ২০০৯ সালে তার একক অ্যালবাম বলিনি কখনও প্রকাশিত। ২০১১ সালে এলআরবি ব্যান্ড থেকে বের করেন ব্যান্ড অ্যালবাম যুদ্ধ।

ছয় বছর পর ২০১৫ সালে তার পরবর্তী একক অ্যালবাম জীবনের গল্প বাজারে আসে। গিটারে তিনি সারা ভারতীয় উপমহাদেশে বিখ্যাত। জিমি হেন্ড্রিক্স ও জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় তিনি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। ঢাকার মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ নামে তার নিজস্ব একটি মিউজিক স্টুডিও রয়েছে।

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী একাধারে গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী। বাংলা ব্যান্ডকে জনপ্রিয় করার কারিগরদের অন্যতম ছিলেন কিংবদন্তী এই শিল্পী।

Bootstrap Image Preview