Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গুলি করে হত্যা; চেয়ারম্যানের কবরে পেট্রোল ঢেলে...

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৫ AM
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০৪ AM

bdmorning Image Preview


সন্ত্রাসীরা গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সাতক্ষীরার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মোশাররফ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তারপরও ক্ষান্ত হয়নি তারা। তার কবরেও আগুন ধরিয়ে দিতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিহত ওই চেয়ারম্যানের কবরে আগুন ধরাতে দুই লিটার পেট্রল এনে এক লিটার ঢেলেও ফেলেছিল। এ সময় আবদুল জব্বার নামের এক সন্ত্রাসী হাতেনাতে ধরা পড়ে।

আটক জব্বার পুলিশকে জানায়, নিহত চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে।

এর আগে গত ৮ সেপ্তেম্বর কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ কার্যালয়ে বসে থাকাকালে চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় একই ইউপির সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল জলিল গাইন ওরফে ডাকাত জলিল ওরফে খুনে জলিলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহতের মেয়ে সাথিয়া পারভিন। আসামি আবদুল জলিল গাইনকে ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁকে সাতক্ষীরায় আনা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ পরদিন জলিলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কৃষ্ণনগরে যাওয়া মাত্র হাজার হাজার লোক এসে জোর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান মোশাররফকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল সেখানেই তাঁর হত্যা মামলার প্রধান আসামি জলিলকে পিটুনি দিয়ে হত্যা করে লোকজন। গণপিটুনি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এ দিকে মৃত্যুর পর জলিল গাইনের লাশ গ্রহণ করেননি তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশী পাহারায় ১৬ সেপ্টেম্বর লাশ গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণনগরের শংকরপুরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। এমনকি তার জানাজাও করতে দেয়নি। এ অবস্থায় জলিলকে কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দু’জন ব্যক্তি দুটি বোতলে দুই লিটার পেট্রল নিয়ে চেয়ারম্যান মোশাররফের কবরের ওপর কিছু কাগজপত্র জড়ো করে আগুন ধরানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল। এ সময় গ্রামের চৌকিদার শাহিন তা দেখে ফেলেন। তিনি দ্রুত ধাওয়া করে আবদুল জব্বারকে ধরেন। অপরজন পালিয়ে যান।

Bootstrap Image Preview