Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাবণ দহন; ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৭ AM
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৮ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে দশেরার অনুষ্ঠানে রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ জন হয়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। এ সময় ট্রেনটি জলান্ধর থেকে অমৃতসর যাচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, আহত কমপক্ষে ৭৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায় অমৃতসরের যোধা ফটকের কাছে রেল লাইনের ধারে রাবণ বধের অনুষ্ঠান চলছিল। ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে, রেললাইনের উপর উঠে অনুষ্ঠান দেখতে শুরু করেন অনেকে। এ সময় রাবণের কুশপুতুলে দাহের সময় বাজির শব্দে কোনো অন্য আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল না। এ কারণে ট্রেনের হুইসেল কেউ শুনতে পায়নি। ফলে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে শিশুসহ অন্তত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৪ জন। অমৃতসরে মহাকুমা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ শর্মা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে অমৃতসর সিভিল হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা আহত কমপক্ষে ৮০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই এক টুইটার বার্তায় ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ভারতীয় রেলওয়ে ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নিহতের পরিবার ও আহতদের সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ দিতে বলেছেন। তিনি নিহতের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

অপর এক টুইটার বার্তায় তাৎক্ষণিক শোকপ্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

এছাড়া কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ অনেকে শোকপ্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করেছেন।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন, আমি দুর্ঘটনার খবর শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পাঁচ লাখ রূপি করে দেয়া হবে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের অতিরিক্ত আরও দুইলাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview