Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাবণ দহন দেখতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের নীচে কয়েক সেকেন্ডেই নিহত অর্ধশতাধিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৬ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে দশেরার অনুষ্ঠানে রাবণের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের নীচে পড়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও প্রায় অর্ধশতাধিক। হতাহতের মধ্যে অনেক কিশোরও রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে কথিত আছে, দশেরার দিনই যুদ্ধ শেষে রাবণ বধ করেছিলেন রাম। সেই উপলক্ষ্যেই এদিন সারা ভারতেই রাবণের ছবি পোড়ানো হচ্ছে। অমৃতসরের ঝোড়া পাঠক এলাকায় রেল লাইনের ধারেও চলছিল রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠান। লাইনের ওপর দাঁড়িয়েই সেই অনুষ্ঠান দেখছিলেন কয়েক শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। আর সে সময়ই আপ ও ডাউন রেল লাইনের ওপর দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে যায় হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস ও অমৃতসর-জলন্ধর ডিজেল মাল্টিপল ইউনিট (ডিএমইউ) ট্রেন। সাথে সাথেই ঘটে যায় বড়সড় দুর্ঘটনা। কেউ চলন্ত ট্রেনের তলায় কাটা পড়ে কেউ বা ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৫০-১০০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে।

দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেল, পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

উদ্ধারকাজে যুক্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান ‘প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা ওই এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

নর্দান রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপক কুমার জানান ‘অমৃতসর ও মানাওয়ালা স্টেশনের মধ্যবর্তী ২৭ নম্বর লেবেল ক্রসিং-এর কাছে ওই অনুষ্ঠান চলছিল। রাবণ পোড়ানো অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয়রা রেল গেটের দিকে এগোচ্ছিলেন। আর সেসময়ই ডিএমইউ ট্রেনটি চলে আসে।’

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন রাবণ বধের অনুষ্ঠান দেখতে প্রায় সাত শতাধিক মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আতশবাজির শব্দ ও রাবণ পোড়ানোর শব্দে স্থানীয় মানুষরা ট্রেনের শব্দ শুনতে না পাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা।

এরকমই একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাবণের কুশপুতুলে আগুন দেওয়া হয়েছে, আর তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি ট্রেন বেশ দ্রুতগতিতে চলে গেল। ওই ট্রেনটি পাঠানকোটের দিক থেকে আসছিল বলে জানা গেছে।

স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলি প্রত্যক্ষদর্শীদের যে বয়ান দেখাচ্ছে, সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে যে প্রতি বছরই এই জায়গায় রাবণ পোড়োনো হয় কিন্তু ওই সময়টায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে, বা অতি ধীরে ট্রেন যায়। কিন্তু এবারে ট্রেনটিদ্রুতগতিতে চলে আসে।

দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

Bootstrap Image Preview