রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
ঢাকা টু কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নতুন এসি কোচ (বগি) সংযোগ দেয়া হয়েছে। গতকাল ১৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই ট্রেনে নতুন এসি কোচ সংযোগ দেয়।
ট্রেনটি ভৈরবে আসা-যাওয়ায় বিরতি থাকলেও এসি আসনে ভৈরব থেকে যাত্রীদের জন্য কোন আসন বরাদ্দ রাখেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এমনকি মাঝপথে কোন রেলওয়ে স্টেশনে এসি কোচে যাত্রীদের কোন আসন বরাদ্দ নেই বলে জানা গেছে।
শুধুমাত্র ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকার জন্য এসি কোচে (পুরা কোচ) ৫০টি আসন বরাদ্দ দেয়া হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্য ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনটি একটি গুরুত্বপূর্ন জংশন স্টেশন। এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী নানা কাজে ঢাকাসহ জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকে। জেলাসদর কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব জংশন রেলস্টেশনে অনেক বেশী টিকিট বিক্রি হয়।
প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রেনে যাতায়তকারী ২৫০০/৩০০০ হাজার যাত্রীর কাছে ২/৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয় ভৈরব রেলস্টেশনে। দীর্ঘদিন যাবৎ ভৈরবের যাত্রীরাও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এগারসিন্ধু ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি কোচ দেয়ার দাবই করছিল। কিন্ত ভৈরব রেলস্টেশনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসি কোচে কোন টিকিট বরাদ্দ না দেয়াই ভৈরববাসী হতাশ হয়েছে।
অসংখ্য যাত্রীর অভিযোগ, দেশের বন্দরনগরী ভৈরব একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। জেলা না হলেও ভৈরব শহরটি জেলার মত গুরুত্ব বহন করে। এ কারণে এলাকাবাসীর মধ্য তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভৈরবের সুধীসমাজসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দাবি কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনে নতুন এসি কোচে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসা-যাওয়ায় টিকিট বরাদ্দ দিতে হবে। স্থানীয় সাংবাদিকরাও এ দাবি জানায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ দাবি না মানলে আন্দোলনে নামবেন বলে অনেকেই এই প্রতিনিধির নিকট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।