যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে শারদীয় দুর্গাপূজার টানা চার দিনের ছুটিতে যেন কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ দিকে পূজার ছুুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও বন্ধ রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বেনাপোল বন্দরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী ছিল চোখে পড়ার মতো।
জানা যায়, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের সর্ব বৃহত্তম আর এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে স্থলপথে যে আমদানি রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৭৫শতাংশ সম্পাদন হয় এ বন্দরে।
আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিল্প কারখানার বিভিন্ন কাঁচামাল, মেশিনারী সামগ্রী, সুতা, কাপড় ও খাদ্যদ্রব্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে অন্যতম কাঁচাপাট ও পাট জাতদ্রব্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ বন্দরটিতে সব সময় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য মজুদ থাকে। যার বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, পেট্রাপোল বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েক হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোলে বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটি শেষে এসব পণ্য বন্দরে ঢুকবে। এতে বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। কাঁচামাল নিয়েও চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান বলেন, ছুটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, বেনাপোল বন্দরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর চার দিন বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। লম্বা ছুটিতে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্যান্য সময়ের চাইতে আরও বেশি নজরদারী রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।