Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিদেশে আইয়ুব বাচ্চুর ২ সন্তান, আগামীকাল বাদ জুমা জানাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৩৯ PM
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০২:০২ PM

bdmorning Image Preview


সংগীতের আঙিনা ছেড়ে চিরতরে চলে গেছেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ড সংগীত জগতের এই কিংবদন্তি তার নিজের গানের কথার মতোই চলে গেলেন দূরে-বহুদূরে!

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শনিবার চট্টগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এ তথ্য জানান আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই। তিনি বলেন, আজ স্কয়ার হাসপাতালের হিমাগারে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল বাদ জুমা জাতীয় ঈদগায়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

চিত্র পরিচালক ও সংগীতজ্ঞ দেবাশিস বলেন, তিনি যে কৃতিত্ব রেখে গেছেন তা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার কর্ম মানুষের মাঝে ওমর হয়ে থাকবে। এজন্য তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার কর্ম বেচে থাকবে। মানুষ তাকে ভালবাসে এবং ভালবেসে যাবে।

এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা তাকে সচেতন ভাবে চলা ফেরা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি যদি আরো সচেতন ভাবে থাকবেন তাহলে হয়ত একটু ভালো হত।

স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক মির্জা নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সকালে উনার হার্ট অ্যাটাক হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তার ড্রাইভার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে তার আগেই তার মৃত্যু হয়।

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।তার সংগীতজগতে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। তার কণ্ঠের প্রথম গান- ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি তার জীবনে সফলতা বয়ে না আনলেও ১৯৮৮ সালে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ তার জীবনে সফলতার দ্বার উন্মোচন করে।

১৯৯১ সালে বাচ্চু এলআরবি ব্যান্ড গঠন করে। এই ব্যান্ড গঠনের পর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে।

পরবর্তী সময়ে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ ও ‘তবুও’ বের হয়। ১৯৯৫ সালে তিনি বের করেন তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামের একটি বলে অভিহিত করা হয় এটিকে। একই বছর তার চতুর্থ ব্যান্ড অ্যালবাম ‘ঘুমন্ত শহরে’ প্রকাশিত হয়।

‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ তার বাংলা ছবির অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান। ২০০৯ সালে তার একক অ্যালবাম বলিনি কখনও প্রকাশিত। ২০১১ সালে এলআরবি ব্যান্ড থেকে বের করেন ব্যান্ড অ্যালবাম যুদ্ধ।

ছয় বছর পর ২০১৫ সালে তার পরবর্তী একক অ্যালবাম জীবনের গল্প বাজারে আসে। গিটারে তিনি সারা ভারতীয় উপমহাদেশে বিখ্যাত। জিমি হেন্ড্রিক্স ও জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় তিনি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত। ঢাকার মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ নামে তার নিজস্ব একটি মিউজিক স্টুডিও রয়েছে।

Bootstrap Image Preview