Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই চার জঙ্গির পরিচয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১০ PM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১০ PM

bdmorning Image Preview


নরসিংদীর মাধবদীতে জঙ্গি আস্তানা থেকে নিলুফা ভিলা থেকে দুই নারী জঙ্গি আত্মসমর্পণ করার পর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটক দুই নারী জঙ্গি হলেন- খাদিজা আখতার মেঘনা ও মৌ। তাদের বয়স ত্রিশের কোটায়। এর মধ্যে একজনের বিয়ে হয়েছিল। তার স্বামী নব্য জেএমবির একজন শীর্ষ নেতা।  অন্যজনেরও বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। তারা বেসরকারি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আটক দুই নারী মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।

আটক দুই নারীর কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। তবে তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসব বোমা নিস্তেজ করে দিয়েছে। গতকালের অভিযানে নিহত দুজন স্বামী-স্ত্রী। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম জানা গেছে, আবু আব্দুল্লাহ আল বাঙাল ও আকলিমা আখতার মনি। নিহত মনির সঙ্গে মেঘনা ও মৌরও সম্পর্ক ছিল।

মনিরুল বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট এই তিন নারীসহ চারজন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। মানারাতে পড়ার সময়ই তাদের পরিচয় ঘটেছিল। তবে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের একজন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। মিরপুর মডেল থানার একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, নিলুফা ভিলায় আগে থেকেই জঙ্গিদের আনাগোনা ছিল। ভগীরথপুরের অভিযানে নিহতরাও এ বাড়িটিতে আসতেন। নিলুফা ভিলার অবকাঠামো দুর্বল ছিল। তাই এ অভিযান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নিগোশিয়েশনের মাধ্যমে এভাবে আত্মসমর্পণ করানোর ঘটনা সত্যিই বিরল।

দুপুরে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর এখন আর আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বাড়িটি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

অভিযান সামনে রেখে সকাল থেকে মাধবদী পৌরসভার ছোট গদাইরচরের সাততলা ওই ভবনের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছিল। আগের দিনের মতোই নিলুফা ভিলার ৫০০ মিটারের মধ্যে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ বলে আশপাশের লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছিল। আশপাশের কয়েকটি মার্কেটের দোকানপাট এবং ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ভবনটির ভেতর মিফতাহুল জান্নাহ মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভবনটির প্রথম থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত রয়েছে মিফতাহুল জান্নাহ মহিলা মাদ্রাসা। ভবনটির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিরা অবস্থান করেছিল বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

আর মোটামুটি দুই কিলোমিটার দূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুরে পাঁচ তলা যে বাড়িতে মঙ্গলবার সোয়াট অভিযান চালায়, তার মালিক বিল্লাল হোসেন নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী। ওই ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়ে ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। দুটি বাসাই এ মাসের ৭ তারিখে ভাড়া নেয়া হয়েছে বলে বাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়।

Bootstrap Image Preview