সৌদির নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগি ইস্যুতে উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি। ২ অক্টোবর তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে যাওয়ার পর থেকে তার হদিস নেই। তুরস্কে শুরু থেকেই দাবি করেছে, কনস্যুলেটের ভেতরেই খুন করা হয়েছে এ সাংবাদিককে। কারণ খাসোগি সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে প্রবেশ করলেও তাকে বের হতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে প্রথমে সৌদি দাবি করেছিল, মূলদ্বার দিয়ে প্রবেশ করলেও খাসোগি বের হয়ে গেছেন পেছনের গেট দিয়ে। কিন্তু তুরস্ক পাল্টা দাবি করেছে, সিসিটিভি রেকর্ডে তা নেই।
সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, জামাল খাসোগির মৃত্যুর কথা স্বীকারের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। সৌদির রাজপরিবারের প্রতিনিধিদের তদন্তের সময় মারা গেছেন খাসোগি- তাদের বিবৃতিতে এমনটা থাকতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাদশা সালমানের সঙ্গে খাসোগির বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে নির্দেশ দিয়েছেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন পম্পেও। জামাল খাসোগি ইস্যুতে ক্রমাগতভাবে চাপ বাড়ছে সৌদি আরবের ওপর। খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৩ দিন পর গতকাল সোমবার তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে তদন্তের অনুমতি পান তুরস্কের তদন্ত কর্মকর্তারা।
জামাল খাসোগির পুরো নাম জামাল আহমেদ খাসোগি। তার জন্ম ১৯৫৮ সালে মদিনায়। পড়াশুনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। আল আরব নিউজের সাবেক প্রধান সম্পাদক ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের এ কলামিস্ট। সৌদি সংবাদপত্র আল ওয়াতানের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি সৌদি ছাড়েন।
তার অভিযোগ ছিল, সৌদি সরকার তাকে টুইটারে নিষিদ্ধ করেছে। সৌদি সরকারের সমালোচনা করে নিবন্ধও লিখেছিলেন তিনি। সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদি বাদশাহর কড়া সমালোচক ছিলেন জামাল। ইয়েমেনে সৌদি হস্তক্ষেপেরও বিরোধিতা করেছেন তিনি। চলতি বছরের মে মাসে সৌদি নারী মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার করলে কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে সৌদি আরবের