Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শাবিতে জাতীয় বিতর্ক ক্যাম্পেইনের আঞ্চলিক পর্ব সম্পন্ন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২০ PM
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২০ PM

bdmorning Image Preview


শাবি প্রতিনিধি:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ন্যাশনাল ডিবেট ক্যাম্পেইন-২০১৮' এর আঞ্চলিক পব সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে ফাইনাল বিতর্কে শাহজালাল ইউনিভিাসির্টি ডিবেটিং সোসাইটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) এবং নেদারল্যান্ড এর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের 'একশন এইড বাংলাদেশ' এর যৌথ আয়োজনে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

একইদিন সন্ধ্যায় মিনি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গৃহস্থালি সেবামূলক কাজকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে দেশের জিডিপি ২৬ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। সমাজ ও দেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পুরুষদের এগিয়ে এসে নারীদের গৃহস্থালি সেবামূলক কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, সমাজে সমৃদ্ধি রক্ষা করতে প্রয়োজন পুরুষদের গৃহস্থালি সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। আর এই জন্য প্রয়োজন সচেতনতা তৈরী এবং গৃহস্থালি সেবামূলক কাজকে অর্থকরী কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দান। ঘরের সেবামূলক কাজকে অর্থনৈতিক মানদণ্ডে স্বীকৃতি দিলে মানুষের কাছে এই কাজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।

ডিইউডিএস'র সভাপতি এসএম রাকিব সিরাজীর সভাপতিত্বে সভায় হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এসইউডিএসের মডারেটর অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম দিপু, এইকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার নুরে জান্নাত প্রমা। এ সময়ে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ের কো-অরডিনেটর আবু তাহের এবং এসইউডিএস এর সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।

একশনএইড বাংলাদেশ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি-ডিউডিএস আয়োজিত এই দেশব্যাপী বিতর্ক উৎসবের মূল বিষয় ছিল ‘গৃহস্থালি সেবামূলক কাজঃ চাই স্বীকৃতি, মূল্যায়ন ও পুনর্বন্টন’। বিতর্ক ক্যাম্পেইনে সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৪টি টিম অংশগ্রহণ করে। বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৪০ জনের মতো অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক সেমিনার ও বিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বারোয়ারি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নৌশিন রশিদ এবং রানার্স আপ হয় যথাক্রমে সামিন ইয়াসির, রাহিমা আহমেদ, নাইম রাহাত ও ধ্রুব সিদ্দিকী।

সকালে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন শাবি'র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, আমাদের সমাজে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। নারীরা ভোর থেকে রাত অবধি গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত থাকেন কিন্তু তারা তাদের কাজের স্বীকৃতি পান না। বিতার্কিকগণ যুক্তি-তর্কের মধ্য দিয়ে সমগ্র দেশ ও সমাজের সামনে এই স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাবিপ্রবি আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন।

সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসজুড়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের আটটি বিভাগকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক পর্যায়ে ৬টি অনুষ্ঠান হচ্ছে। এরই মধ্যে খুলনা, ঢাকা-ময়মনসিংহ, রাজশাহী-রংপুর এবং চট্টগ্রাম-কুমিল্লা পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকল অনুষ্ঠান আয়োজন শেষে সর্বশেষ এবং সপ্তম আয়োজনে আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ী দলগুলোর সমন্বয়ে আয়োজিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

আয়োজকরা জানান, নারীর ক্ষমতায়ন, সর্বোপরি দেশের উন্নয়নের এই আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে তরুণ সমাজ রাখতে পারে অগ্রণী ভূমিকা। তাই তাদের কাছে গৃহস্থালি সেবামূলক কাজ বিষয়টি সম্পর্কে তুলে ধরা এবং তাদের মাধ্যমে পুরো দেশকে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ভেঙে দিয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই আয়োজন। সারা দেশব্যাপী এই আয়োজনে বাংলাদেশকে ৬টি অঞ্চলে ভাগ করে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার পঞ্চম পর্ব সোমবার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

Bootstrap Image Preview