বলিউডের বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন। এ অন্দোলনকে কেন্দ্র করে অভিযোগকারিনীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সইফ আলি খান। ‘যৌন হেনস্থার মত ঘটনা যদি কোনও মহিলার সঙ্গে ঘটে, তাহলে সেই এ কষ্ট অনুভব করতে পারেন, অন্য কেউ নন।’ – এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বলিউডের এই অভিনেতা।
রীতিমত সতর্কতা জারি করে সাইফ জানান, মেয়ে সারা আলি খানের সঙ্গে যদি কেউ এ ধরনের আচরণ করেন, তাহলে তাঁকে মারতে নূন্যতম দ্বিধাবোধ করবেন না তিনি। তিনি কোনওভাবেই সেই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেবেন না। শুধু তাই নয়, মেয়েকে অপমান করে তাঁর হাতে মার খেয়ে যদি ওই ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হন, তাতেও কোনও আপত্তি নেই। অর্থাৎ, মেয়েকে অপমান করলে তিনি সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে কোনওভবেই ছেড়ে দেবেন না। আর তার জন্য যদি তাঁক আদালত পর্যন্তও যেতে হয়, তাহলেও কোনও আপত্তি নেই বলেও স্পষ্ট জানান সইফ আলি খান।
তবে স্ত্রী করিনা কাপুর খান, বোন সোহা আলি খান এবং তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গেও যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁদেরকে সইফ কোনওভবেই ছেড়ে দেবেন না বলে সাফ জানান পতৌদির ছোটে নবাব।
এদিকে, ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের জেরে মুখ খুলেছেন বলিউড ‘কুইন’ কঙ্গনা রানাউত। বলিউডের অন্যতম সেরা নায়ক হৃত্বিক রোশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন কঙ্গনা। অভিযোগ করে সে জানায়, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে, তাঁকে ব্যবহার করেছেন হৃত্বিক। এ নিয়ে আইনি নোটিশ চালাচালি থেকে শুরু করে সাংবাদিক সম্মেলন সবকিছুতেই হাজির হয়েছেন হৃত্বিক, কঙ্গনা। পাশাপাশি ‘মি টু’ দাপটে যদি কেউ শাস্তি পান, তাহলে সেই তালিকায় হৃত্বিক রোশনের নামও যোগ করা হোক বলে দাবি করেন কঙ্গনা।
শুধু হৃত্বিকই নন, অভিযোগের খাতায় বিকাশ বহেলের নামও জড়িয়েছেন কঙ্গনা। কঙ্গনা জানান, ২০১৪ সালে ‘কুইন’-এর শুটিংয়ের সময় বিকাশ বহেল সবে সবে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু, ঘরে নতুন বউ রেখে প্রতিদিন নিত্য নতুন যৌন সঙ্গিনী খুঁজে বেড়াতেন বিকাশ। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করতেন বিকাশ। কিন্তু, তাঁর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যেস ছিল। আর সেই কারণেও তাঁকে বিকাশের কাছে আজেবাজে কথা শুনতে হত বলেও অভিযোগ করেন কঙ্গনা রানাউত।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বলিউডে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিকাশ মাঝে মধ্যেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে, 'তোমাকে আমার ভাল লাগে কে' বলেও অভদ্র আচরণ করতেন বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনা।