পানির উৎকটে নষ্ট হচ্ছে রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে হাতিরঝিলের পরিবেশ। মশার কারণে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আশপাশের মানুষ। বিঘ্ন হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে পানি দুর্গন্ধমুক্ত করতে অর্ধ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিলেও এগুলোকে লোকদেখানো বলছেন হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী।
ইট-পাথরের নগরীতে হাঁসফাঁস করা বাসিন্দারা একটু মুক্ত বাতাসের জন্য আসেন হাতিরঝিলে। অথচ এখানেই উৎকট গন্ধ!
বর্ষায় বৃষ্টির পানি ধারণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য হাতিরঝিলকে নয়নাভিরাম করে গড়ে তোলা হলেও পয়ঃনিষ্কাশনের সংযোগের কারণে এখন হিতে-বিপরীত হচ্ছে।
এলাকাবাসী বলছে, এতে বিঘ্ন হচ্ছে বাচ্চাদের শিক্ষা কার্যক্রম। টানা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ বাচ্চাদের অপেক্ষায় থাকা অভিভাবকরাও।
এ অবস্থায় পানিকে দুর্গন্ধমুক্ত করতে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নিয়েছে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’- রাজউক।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে হাতিরঝিলের পানি নিয়ে দুর্ভোগের জন্য ওয়াসার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী বুয়েটের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তার মতে, পয়ঃনিষ্কাশনের সংযোগ বন্ধ না হলে কখনই দুর্গন্ধমুক্ত করা সম্ভব নয়।