দুর্গাপূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা চার দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কোন আমদানি-রপ্তানি হবে না বলে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানিয়েছে।
পূজার লম্বা ছুটির কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। তবে এ সময় বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত চার দিন ছুটি থাকায় এ সময় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ২০ অক্টোবর শনিবার সকালে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টম ও বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার রামেশর মিনা পূজায় চার দিন ছুটির বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। তবে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর এ সময় খোলা থাকবে।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। এ ছাড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
ভারতের বনগাঁ কালিতলাসহ তিনটি পার্কিংয়ে প্রায় তিন হাজার ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে এরই মধ্যে বেনাপোল প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তার ওপর টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর ১৯ অক্টোবর সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু হলে সৃষ্টি হবে পণ্য জটের পাশাপাশি ট্রাকজটের বলে জানান তিনি।