বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করে ভারতীয় উপকূলে আঘাত এনেছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। এজন্য সমুদ্র বন্দরের ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘তিতলি’। কিন্তু কেন এবং কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ হলো?
সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’র আঞ্চলিক কমিটি। সেই হিসেবে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় পূর্বাভাসের দায়িত্বে আছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং ওমানের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার একটি প্যানেল হচ্ছে এস্কেপ (ESCAP)।
২০০০ সালে এই প্যানেল প্রথম প্রস্তাব করে এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার জন্য। এ জন্য প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে নাম জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একেকটি ঝড় বাস্তবে সৃষ্টি হলে, তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নাম নির্বাচন করা হয়। ঝড় যেহেতু মৃত্যু ও ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাই কোনো নাম পুনরাবৃত্তি করা হয় না।
সেই তালিকা অনুযায়ীই এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘তিতলি’। ‘তিতলি’ নামটির প্রস্তাব এসেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে। হিন্দি ভাষার শব্দ ‘তিতলি’ অর্থ ‘প্রজাপতি’। পরবর্তী ঝড়ের ক্ষেত্রে তালিকার পরের নামটি নেওয়া হবে। সেটি প্রস্তাব করেছে অন্য আরেকটি দেশ।