বাংলাদেশে ব্যবহার করা প্রায় ৯২ শতাংশ পানিই দূষিত। এ দেশে পান করার ৪১ শতাংশ পানিতে ই-কোলি ব্যাকটেরিয়া আছে। আর ১৩ শতাংশ পানি আর্সেনিকযুক্ত।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শহরগুলোতে ৫২ শতাংশ পানি পাইপলাইনে সরবরাহ করা হলেও তা সঠিক মাত্রায় শোধন করা হয় না। বিশুদ্ধ পানির আরেক নাম যেমন জীবন। তেমনি মানুষের মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি হয় দূষিত পানির কারণে।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট চলছে। নলকূপ বা উপরিভাগ পানির সব কয়টি উৎসই এখন ঝুঁকিতে। বিশুদ্ধ পানির উৎসের প্রতি সচেতন না হলে ভষ্যিতে ভয়াবহ পরিণতির শিকার হতে হবে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের পাঁচ কোটি মানুষ টয়লেট শেয়ার করে। অর্থ্যাৎ একাধিক পরিবারের লোকজন একটি টয়লেট ব্যবহার করে। এই সংখ্যা গ্রামে যেমন রয়েছে তেমনি শহরেও রয়েছে।
বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা উন্নত করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আরও গতিশীল হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর শিরিন ঝুমা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুখসানা কাদের ছিলেন।