Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাঙ্গাবালীতে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীকে মারধর, অভিযোগ দায়ের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০৫ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০৫ PM

bdmorning Image Preview


রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

ডরমেটরি ভবনের কক্ষ না দেওয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের এক কর্মচারীকে (বাগানমালি) মারধরের অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (৭ অক্টোবর) রাতেই এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের ডরমেটরি ভবনে জেলা থেকে আসা এলজিএসপি প্রকল্পের দুই কর্মকর্তার জন্য রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান দুইটি কক্ষ চান। কিন্তু অনুমতি ছাড়া কক্ষ দিতে উপজেলা পরিষদের বাগান মালি আবু হানিফ অনিহা প্রকাশ করেন।

এতে রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হন। কিছুক্ষণ পর বহিরাগত লোকজন এসে আবু হানিফকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায় জোরপূর্বক আবু হানিফকে দিয়ে কক্ষ খুলিয়ে ওই দুই কর্মকর্তাকে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করে দেন বহিরাগতরা।

মারধরের শিকার উপজেলা পরিষদের বাগান মালি আবু হানিফ বলেন, রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুন খান আমাকে মোবাইল করে এলজিএসপির দুই লোকের জন্য ইউএনও স্যারের রুমসহ দুইটি রুম চায়। আমি ইউএনও স্যারের অনুমতি ছাড়া তার রুম দিতে রাজি হয়নি। তাই চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় ওমর খান ও নুরুল খানসহ কয়েকজন এসে আমাকে খুব মারধর করে।

তিনি বলেন, মারধরের পর জোর করে আমাকে দিয়ে ইউএনও স্যারের রুম ও গেস্ট রুম খুলিয়েছে। পরে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলে গালিগালাজ করে চেয়ারম্যানও মারতে চায়। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন আছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুন খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কাল রাতে (রবিবার) ঘটনাটি আমি শুনেছি। মামলা করতে বলেছি। থানায় অভিযোগ নিয়েছে, মামলা এখনও নেয়নি। এ ব্যাপারে মামলা নিতে ওসি সাহেবকে বলেছি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ডরমেটরি ভবনের কক্ষ কাউকে দিতে হলে আমার কিংবা ইউএনও সাহেবের অনুমতি নিতে হয়। এ জন্য অনুমতি ছাড়া মালি আবু হানিফ কক্ষ দিতে রাজি হয়নি। তাই কয়েকজন হানিফকে মারধর করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview