Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

চরভদ্রাসনে আনন্দ স্কুলের সমাপনী পরীক্ষায় ভুয়া শিক্ষার্থীদের সয়লাব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৬ PM
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


চরভদ্রাসন প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী মডেল টেষ্ট পরীক্ষা। এ সময় বহিরাগত ও ভুয়া শিক্ষার্থীকে সয়লাব করা হয়।

জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ৩টি কেন্দ্রে পঞ্চম শ্রেণির আনন্দ স্কুলের সমাপনী মডেল টেষ্ট পরীক্ষায় মোট ৪৬৭টি জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এ বছর উক্ত আনন্দ স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে একাধিক ভুয়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাপনী মডেল টেষ্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে রবিবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সদরের বি.এসডাঙ্গী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এক একটি ছোট বেঞ্চে একসাথে ৪/৫ জন করে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে মিলেমিশে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ও ভুয়া শিক্ষার্থী আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী হয়ে দ্বিতীয় দিনের বাংলা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

এসব ভুয়া শিক্ষার্থীরা হলো- উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির রহিমা, উপজেলা সদরের জেলাখানা আনন্দ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির মোঃ রমজান, বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মোঃ তোতা শিকদারের ছেলে রাজমিস্ত্রী মোঃ জিহাদ শিকদার ও বিএসডাঙ্গী গ্রামের পান্নু খানের মেয়ে মারুফা প্রমুখ।

এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের কাছে ভুয়া শিক্ষার্থী সেজে পরীক্ষার দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের আনন্দ স্কুলের শিক্ষকরা এখানে এসে পরীক্ষা দিতে বলছে, তাই আমরা এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছি বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে স্কুলের হল সুপার ও আনন্দ স্কুলের সদস্য সচিব বিএসডাঙ্গী মডেল স.প্রা.বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানার কাছে তার স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে কেন আনন্দ স্কুলের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উক্ত স্কুলের শিক্ষকদের নিষেধ করার পরেও আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়াচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল হক জানান, আনন্দ স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ উপ-সচিব, সচিব সকলেই জানে। এরা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই স্কুল পরিচালনা করে থাকেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা আনন্দ স্কুলের (টিসি) মোঃ শাহিন পরীক্ষার অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা হলে আর কোন ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবেনা বলে তিনি জানান।

Bootstrap Image Preview