আঠারো দিন পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রহস্যজনক নিখোঁজ নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়মকে ঢাকা থেকে জীবিত উদ্বার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার মুগদা থানাধীন মদিনাবাগ এলাকার খালপাড়া রোডসন্থ রুনা ফ্যাশন থেকে কর্মরত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিং এ মরিয়মকে উপস্থিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।
পুলিশ সুপার জানান, মরিয়মের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার খালাতো ভাই এর সাথে বিয়ে দেয়ার কথাবার্তা চলছিল। এর প্রেক্ষিতে মরিয়ম নিজের সাদা রং এ একটি রাজাহাস জবাই করে দুই টুকরা মাংস পুকুর থেকে ধুয়ে এনে ও ঘরের মেজেতে রক্ত ছিটিয়ে রাখে রাতে। যাতে করে সবাই ধারনা করে যে মরিয়মকে হত্যা পূর্বক অজ্ঞাত স্থানে গুম করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯ সেপ্টম্বর (বুধবার) ভোর রাতে কুয়াকাটা খানাবাদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় মহিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থী মরিয়ম। এ সময় তার শোবার ঘর থেকে রক্ত মাখা দু’টি ছুরি, তার ব্যবহৃত পায়ের নুপুর, মাথার চুল এবং দুই টুকরো মাংস ছাড়া জীবিত বা মৃত ওই ছাত্রীর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও প্রকৃত ঘটনা কি হয়েছে পরিবারের কারও জানা নেই।
এ সময় উদ্বার হওয়া আলামত থেকে পুলিশেরও ধারনা হয়, হত্যাকান্ডের ঘটনা শেষে লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে।