Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের ৫টি স্মরণীয় ও বিতর্কিত ঘটনা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৫ AM
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৫ AM

bdmorning Image Preview


গত এক দশকে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অন্যতম শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেট দ্বৈরথে বেশ কিছু উত্তেজক মাল-মশলা জমা হয়েছে। শুক্রবার এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে দেখে নেওয়া যাক সেরকমই ৫টি মুহূর্ত।

২০০৭ - বাংলাদেশ ছিটকে দিয়েছিল দ্রাবিড়ের ভারতকে

দলে ছিলেন দ্রাবিড়, সৌরভ, শচিন, সেওয়াগ, জাহির খানের মতো ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের আগের পারফরম্য়ান্সের নিরিখে এই ভারতকে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম দাবিদার ধরা হচ্ছিল। কিন্তু সবা পাল্টে দিয়েছিল গ্রুপের বাংলাদেশ ম্যাচ। মাশরাফে মোর্তাজা ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস আটকে দিয়েছিলেন মাত্র ১৯১ রানে। স্নায়ুর চাপ সামলে সেই রানটা তুলে জিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তার পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ভারত ছিটকে গিয়েছিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই।

২০১১ - মধুর প্রতিশোধ ধোনির ভারতের

৪ বছর পরের বিশ্বকাপে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ তুলেছিল ধোনির ভারত। বীরেন্দ্র সেওয়াগের নির্মম ১৪০ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস ও সেই সঙ্গে কোহলির শতরান (৮৩ বলে ১০০) - ভারতকে পৌঁছে দিয়েছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে (৩৭০ - ৪)। বল করতে নেমে মুনাফ প্যাটেল ৪ উইকেট নেন। নিটফল বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৩-র বেশি এগোতে পারেনি।

২০১৪ -বাংলাদেশের সিরিজ জয় ও সংবাদপত্রের প্রতিক্রিয়া

২০১৪ সালে ঝটিতি ঠিক হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সেই সময় ফুটবল বিশ্বকাপ চলায় সিরিজটি অনেকেই দেখেননি। ভারতের প্রথম সারির তারকাদের অনুপস্থিতিতে সেই ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুরেশ রায়না। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেককারী পেসার তাস্কিন আহমেদের সামনে ভারত ২৫.৩ ওভারে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল। তাস্কিন নিয়েছিলেন ২৮ রানে ৫ উইকেট। জবাবে ভারতের পক্ষে স্ট্রুয়ার্ট বিনি (৪-৬) ও মোহিত শর্মা (২২-৪) বাংলাদেশ ইনিংস ১৫.৫ ওভারে ৫৮ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন। য়াইহোক সেই সিরিজে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই জয় ভারি অদ্ভুতভাবে উদযাপনের পথ নিয়েছিল বাংলাদেশি সংবাদপত্রগুলি। ভারতীয় খেলোয়াড়দের তীব্র বিদ্রুপ করা হয়।

২০১৫ বিশ্বকাপ - রোহিতের শতরান ও ভারতের বিতর্কিত জয়

৯০ ঘরে ব্যাট করছিলেন রোহিত শর্মা। সেই সময় রুবোল হোসেন তাঁর কোমরের উপর একটি ফুলটস বল করেছিলেন। রোহিত তা সামলাতে পারেননি। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা যখন ক্যাচ ধরে আনন্দে লাফালাফি করছেন, তখনই দেখা যায় আম্পায়ার নো বল গিয়েছেন। নো বলের সিদ্ধান্ত ছিল লেগ আম্পায়ার আলিম দারের। সেখান থেকে রোহিত ১২৬ বলে ১৩৭ করে যান। ভারত তোলে ৬ উইকেটে ৩০০। জবাবে উমেশ যাদব ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে দিয়েছিলেন ১৯৩ রানে। কিন্তু ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ওই নোবলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আইসিসিতে অভিযোগ পর্যন্ত করেছিল।

২০১৬ সমর্থকদের ক্রোধ ও অহঙ্কার

২০১৫ সালের ওই ঘটনাই ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্য়াচের পরিবেশ গনগনে করে তুলেছিল। ভারতীয়দের উপর প্রচন্ড ক্রোধ জন্মেছিল বাংলাদেশি সসমর্থকদের মনে। ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। ফাইনালের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ক্রোধ ও অহঙ্কারের জঘন্য বহিপ্রকাশ ঘটেছিল। বিশেষ করে তাস্কিন আহমেদ ও ধোনির একটি মর্ফড ছবি শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ছবিটা ছিল তাস্কিন, তখনকার ভারত অধিনায়ক ধোনির একটি কাটা মাথা হাতে নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন। ফাইনালে কিন্তু শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির অনবদ্য ইনিংসের জোরে বাংলাদেশকে সহজেই পরাজিত করেছিল ভারত। ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন। ৪ ইনিংসে ৮১.৭৫ গড় নিয়ে শিখরের রান ৩২৫ আর ১৩৪.২৫ গড় নিয়ে সমসংখ্যক ইনিংসে রোহিতের রান ২৬৯।

Bootstrap Image Preview