বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈর এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য ২০.৫০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে ৯টি কোম্পানি।
“১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটি টাস্কফোর্স এর সভায় ২৩২ একরের একটি জমি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে দান করেছিল কিন্তু তখনও আমরা জানতাম না যে এটাকে কিভাবে কাজে লাগাতে হবে। তখনও বিজয় বাংলা কিবোর্ড ছাড়া আমাদের কোন সাফল্য ছিল না। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ওই জমিটিকে খাম্বা গ্রুপ এর বেআইনি দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করেন এবং ডিজিটাল টাস্ক ফোর্স গঠনের মাধ্যমে দেশীয় আইটি খাতকে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, তার স্বপ্ন বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা ল্যাপটপ নিয়ে ক্লাসরুমে যাবে; নিজেরা বানাবে এবং বাইরে রপ্তানি করবে। আজকের এই হাই টেক সিটি তার সেই স্বপ্নএরই একটি বাস্তব রুপ”।
আজ মঙ্গলবার(২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের হারমোনি হলে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈর এর জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক এটি।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটা দেশেই এমন একেকজন নেতা থাকেন যারা একটি জাতিকে তাদের দূরদর্শীতার মাধ্যমে কয়েকগুণ সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের জন্য সেই ভূমিকা পালন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মিসেস জুয়েনা আজিজ এবং বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসির সভাপতিত্বে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে মোট নয়টি কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী চল্লিশ বছরের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে, রবি অজিয়াটা, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস এবং জেআর এন্টারপ্রাইজ।
সবচেয়ে বেশি জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, কেডিএস গ্রুপ এবং ইন্টারক্লাউড। তারা প্রত্যেকে ৩.০০ একর করে জমি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করবে নাজডাক টেকনোলজিস লি.।তারা মিনি পিসি এসেম্বলিং ও বিক্রি, আইটি রিলেটেড টেকনিকাল ট্রেনিং এবং সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার জন্য মোট ৬১.৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যার মাধ্যমে ৩,৬০০ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।