ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে অমল কার্মকারের দোকান থেকে আমিন হোসেনের বাড়ি এবং শহিদুল ধোপার বাড়ি হতে শংকর সরকারের বাড়ি পর্যন্ত মোট ৩৮৪ ফুট রাস্তার সলিং এর কাজ অনিয়মের শেষ নেই। নিয়ম অনুযায়ী ১ নম্বর ইট এবং ৩ ইঞ্চি পুরু বালি দেবার কথা থাকলেও নিন্মমানের ৩ নম্বর ইট এবং গর্তে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও ঠিকাদার প্রাথমিক ভাবে কাজ বন্ধ করে দিলেও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতার সহযোগীতায় পুনরায় কাজ শুরু করেছে।
বজরাপুরের তাজুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মহেশপুরের অনেক গ্রামে কম বেশী রাস্তাঘাট হচ্ছে বিগত ৫ বছরে আমাদের গ্রামে কোন রাস্তার উন্নতি হয়নি। বর্ষায় এই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন পর এর নির্মাণের কাজ শুরু হলেও নামে মাত্র হচ্ছে কয়েকহাত রাস্তা। তারপর ভালো মানের ইটের জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে ৩ নম্বর ইট। এ বিষয়ে প্রশাসনকে কিছু জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানিয়েছি।
এ অভিযোগের বিষয়ে এস বি কে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফান চৌধুরী নুথান জানান, এভাবে নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ হচ্ছে তা সত্যিই দুঃখ জনক। আমি বিষয়টি দেখছি।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন, জেলা পরিষদ থেকে ১ নম্বর ইট এবং তিন ইঞ্চি বালি দিয়ে রাস্তার সলিং করার কথা কিন্তু ঠিকাদার যদি তা না করে তাহলে চরম দুনীতি করছে।
এব্যাপারে ঠিকাদার মাসুদ হোসেনের সাথে মোবাইলে ০১৭১৮৯২৯১৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ৩ নম্বর না দুই নম্বর ইট দিচ্ছি বালি আমরা নরমাল ই সব জায়গায় গর্তের দিয় আর প্রকল্পটি ছাড় করাতে আমার অনেক খরচ হয়ে গেছে এর থেকে আমি আর বেশী কিছু করতে পারব না আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে পারেন।