হাসপাতালের ডাস্টবিনে নবজাতকের ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ!

জন্মের পর মা-বাবার কোল হবে নবজাতকের ঠাঁই এটাই স্বাভাবিক। অথচ বর্তমানে অনেক নবজাতকেরই ঠাঁই হচ্ছে ডাস্টবিন, ড্রেন, ফুটপাত বা হাসপাতালের আঙিনায়। এমন ভাগ্যই বরণ করতে হয়েছে দেবিদ্বারের এক নবজাতকের।

আজ রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ডাস্টবিনে বিচ্ছিন্ন হাত-পা, নাড়ি-ভূড়ি মিলেছে এক নবজাতকের।

জানা যায়, আজ সকালে হাসপাতালের পরিষ্কার কর্মী ময়লা নিতে এসে ডাস্টবিনে একটি নবজাতকের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ দেখতে পান। পরে তিনি আশেপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে দেবিদ্বার থানায় খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করে।

হাসপাতালের নার্স নারগিস আক্তার জানান, কয়েকদিন পরপর হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটছে। গত এক মাস আগে হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর জানান, এটি নিতান্তই ঘৃণ্যকর ও মর্মান্তিক কাজ। এ কাজে যদি এ হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা সিভিল সার্জন’র পরামর্শে জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনি ডা. তামান্না আফতাব সুলাইমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে তারা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।’

দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেদ মোশাররফ জানান, রাতে কোনো এক সময় কেউ ডাস্টবিনের ময়লার ভিতরে নবজাতকের লাশটি ফেলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতেই কুকুর বা কোনো জন্তু মরদেহ থেকে মাংস ও মাথার কিছু অংশ খেয়ে ফেলে। এ কারণে অন্যন্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়।