কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার নদীর পাড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি লাকড়ীর মিলসহ ১৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার মালামালসহ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯ টায় পৌর কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু লাকড়ির মিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ঘটনায় ভৈরব বাজারে ব্যবসায়ী জহুলালের ২ হাজার মণ, জসিম মিয়ার ৫ হাজার মণ, জহিরুর ইসলামের দেড় হাজার মণ, আক্তার মিয়ার দেড় হাজার মণ লাকড়ি পুড়ে যাওয়া গুদামে মজুদ ছিলো। যার আনুমানিক বাজার দাম ৩০ লাখ টাকা। এছাড়াও মোজাম্মেল মিয়ার ১০ হাজার বস্তা, মমিনুল হক রাজুর ২০ হাজার বস্তা ভুষি, যার আনুমানিক বাজার দাম ১৮ লাখ টাকা। ৬টি মটর, ৩টি চালনা মেশিন, বিদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। যার আনুমানিক দাম প্রায় ৭ লাখ টাকা।
পুড়ে যাওয়া লাকড়ির মিলের মালিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু জানান, এ দুর্ঘটনায় আমার লাকড়ির মিলসহ আরো ১৫ জন ব্যবসায়ীর গুদামজাত মালামাল ছিল। সব মিলিয়ে ৬০ লাখ টাকার মালামালসহ মোট ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জহিরুর ইসলাম বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। পুড়ে যাওয়া গুদামে দেড় হাজার মণ লাকড়ি গুমামজাত অবস্থায় ছিল। আমি যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তা পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
জানা যায়, গতকাল রাতে হঠাৎ করে ভৈরবের লাকড়ী মিল ব্যবসায়ী ও পৌর কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজুর লাকড়ীর মিলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভৈরব বাজার ব্যবসায়ী ও চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্টিস সদস্য মো.জিল্লুর রহমান জানান, রাতে হঠাৎ মিলে অাগুন লেগে যায়। অামরা অাগুনের ধোয়া দেখে পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু অাগুন ধীরে দীরে বাড়াতে থাকে। তারপরই ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে অাগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ দুর্ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি অাশংকা করছেন তিনি।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুছা ভূইয়া জানান, লাকড়ি মিলে বিদ্যুতের ওভার হেটিং (অতিরিক্ত তাপ) থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।