আইনগত ভিত্তি পেলেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও ইভিএম ব্যবহার বিষয়ক এক কর্মশালার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
সিইসি বলেন, ‘আইনগত ভিত্তি পেলে আগামী একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে ব্যবহারের আগে সেটি ত্রুটিমুক্ত কি না সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে। আমরা ভোটারদের মধ্যে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করব। ইভিএমে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।'
তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারের জন্য এখনো আইনি স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। স্বীকৃতি পেলেই এটি ব্যবহার করা হবে। এই যন্ত্র ব্যবহার করলে ভোটগ্রহণ সহজ হবে, কষ্ট কমে যাবে, ভোট গণনা সহজ হবে এবং ভোট কারচুপি হবে না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাদের আগে ইভিএম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। জানার পর মন্তব্য করলে ভালো হয়। আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হতে হবে। নির্বাচনের ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান। এ কর্মশালায় মোট ৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।