Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্দেশে কাজ না হওয়ায় নিজেই বিলে নেমে পড়লেন ইউএনও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:২৭ AM
আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১২ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


একসময় বিলটিজুড়ে লাল-সাদা শাপলা ফুটে থাকতো। শীতের সময় অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠত এখানকার পরিবেশ। কিন্তু একদল প্রভাবশালী মানুষ দীর্ঘদির ধরে বিলের মধ্যে বাঁশের বেড়া, মাচা দিয়ে ভাগ করে মাছ চাষ করে আসছিল। এতে করে শাপলা হারিয়ে তার জায়গায় ভরে উঠেছিল কচুরিপানা| বন্ধ হয় অতিথি পাখি আসাও।

এই অবস্থায় কয়েকদিন যাবত বিলটি পরিষ্কার দখলমুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)। কিন্তু কোনো নির্দেশেই যেন কাজ হচ্ছিলো না। তাই বাধ্য হয়ে নিজেই নেমে পড়লেন বিলে। কয়েক ঘণ্টা বিলের পানিতে থেকে পরিষ্কার করলেন কচুরিপানা।উচ্ছেদ করলেন অবৈধ স্থাপনা।

ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিলে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিলের পানিতে নেমে কাজ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মশিউর রহমান। এসময় ইউএনওর বিলে নেমে পড়া দেখে স্থানীয় জনসাধারণসহ রাজনৈতিক নেতারাও তাঁর সাথে বিলে নেমে পরিষ্কার কাজে অংশ নেন।

এসময় তাঁরা প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে বিলের কচুরিপানা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।

ইউএনও এর এমন মহৎকাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয়রা। অভিযানে অংশ নেওয়া নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলের কাদাপানিতে থেকে একজন ইএনও কচুরিপানা পরিষ্কার করবেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন, তা ভাবনাতেও ছিল না।

ইউএনও নিজে বিলে নামার পর তিনিও পানিতে নেমে কচুরিপানা পরিষ্কার করেছেন।

জানা যায়, ৩৬০ হেক্টর এলাকাজুড়ে আশুরা বিল। এখানে দেশীয় মাছ-লাল খলশে, কাকিলাসহ আট প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

বিলের পানিতে নেমে ‍নিজেই কচুরিপানা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে ইউএনও মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় উদ্যানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিলটি দেশের অমূল্য সম্পদ। অবৈধা স্থাপনা, বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে কচুরিপানায় ভরে গিয়েছিল পুরো বিল। হারিয়ে গেছে শাপলা। শীতকালে ধান চাষ করায় ফসলে কীটনাশক ব্যবহারে হারিয়ে গেছে বহু দেশি প্রজাতির মাছ।

বিলটির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শাপলা, পদ্ম লাগানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

Bootstrap Image Preview