Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

জমি বিরোধ; গাছের সঙ্গে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৬ PM
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের স্ত্রীকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও মেয়েকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ার হাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ার হাওলা গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের সঙ্গে তার প্রতিবেশী একই এলাকার (৩ নম্বর ওয়ার্ড) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।

বশির ওই বিরোধী জমির গাছ থেকে নারিকেল কাটতে গেলে সেখানে এসে প্রতিপক্ষ রহিম হাওলাদারের স্ত্রী হালিদা বেগম বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিদাকে জোরপূর্বক লোকজন নিয়ে বশির তার নিজ বাড়িতে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। একপর্যায় বশির ও তার ভাই আলম মোল্লা তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে হালিদাকে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।

এ খবর শুনে হালিদার স্বামী রহিম হাওলাদার ও তার মেয়ে রহিমা বেগম ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। এসময় মা’কে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে রহিমার মাথায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রহিম হাওলাদারকেও ধরে মারধর শুরু করলে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে তাদেরকে রক্ষা করেন।

আহত রহিম হাওলাদার বলেন, নারিকেল কাটতে বাধা দেওয়ায় আমার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে বশির। খবর শুনে আমি আর আমার মেয়ে সেখানে যাই। তখন আমার মেয়েকে কুপিয়ে আহত করে। আমাকেও লাঠি দিয়ে পেটায়। আমাদের ডাক-চিৎকারে লোকজন এসে তাদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বশির মোল্লা বলেন, আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় আদালতে মামলা আছে। স্থানীয় লোকজন কয়েকবার শালিসও করছে। আমি কয়টা নারিকেল বস্তায় করে নিয়ে বাড়িতে মা'কে দেই। এটা দেখে দৌড়ে এসে হালিদা আমার মা’কে লাথি মারছে। তখন আমার বউ আর ভাবীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। আমরা ছাড়িয়ে দিয়েছি। রহিমাকে কেউ কোপায়নি।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview