গাইবান্ধার ফুলছড়ির পূর্ব কঞ্চিপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পানির চাপে ভেঙে গেছে রাস্তা। ফলে আশেপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব কঞ্চিপাড়া গ্রাম থেকে বালাসিঘাট রেলওয়ের দক্ষিণ দিকে খোলাবাড়ী ও উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া গ্রামের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১ টার দিকে রাস্তাটির প্রায় ২০ মিটার অংশ ভেঙে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন। রাস্তাটি যেখানে ভেঙ্গেছে সেখানে পানির স্রোতের অনেক গতি। যে কারণে ভাঙার পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়ছে। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করছে। আর এই রাস্তা দিয়ে গবরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। তাই দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন জানান, ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সে. মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। মঙ্গলবার সেটি কমে বিপদসীমার ৭ সে. মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙন এলাকাগুলো চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তাছাড়া, দুপুরে প্রশাসনের লোকজন এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালুর বস্তা ফেলে ভেঙে যাওয়া রাস্তার অংশটি মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।