ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে হাট চান্দিনার জায়গায় অবৈধভাবে ইটের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ডুগডুগীহাটে হাট চান্দিনার জায়গায় হাট ইজারাদার ময়নুল মাস্টার অবৈধভাবে ৯টি ইটের ঘর নির্মাণ করছেন বলে জানা যায়।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে দায়িত্বেরত হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শুকরিয়া পারভীন পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ নির্মাণাধিন ঘরগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, চলতি বাংলা ১৪২৫ সালের জন্য উপজেলার ডুগডুগীহাটটি ভ্যাটসহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকায় ইজারা গ্রহণ করেন চাটশাল গ্রামের ময়নুল মাস্টার। হাটটি ইজারা গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন কৌশলে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাট পেরিফাইয়ের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিতের নানান অজুহাতে অবৈধ অর্থ আদায় করতে থাকে সে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী আরশেদ, শাজাহান, শরিফুল, জিয়াউর, শহিদ পরিবারের সন্তান ছাব্বির হোসেনসহ অনেকে একাধিকবার ঘোড়াঘাট নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগকারীদের ব্যবসার জন্য আর স্থান দেয়া হয়নি বলেও জানা যায়। সম্প্রতি হাট ইজারাদার ময়নুল মাস্টার খোলা বাজারের তরি তরকারীর হাটটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করে ফাঁকা করে ফেলে ও ফাঁকা জায়গায় রাতে রাতে নিজস্বভাবে ৯টি দোকানের একটি মার্কেট নির্মাণ করতে থাকে। এভাবে মার্কেটটি নিলটন পর্যন্ত কাজ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হাট কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ ব্যবসায়ীরা তাকে নিষেধ করলে সে কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। অবস্থা বেগতিক দেখে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব মোল্লা ঘোড়াঘাট উপজেলার চলতি দায়িত্বে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শুকরিয়া পারভীনকে অবগত করেন। পরে তিনি ওই স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলেন।
এ সময় হাট ইজারাদারের কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ইউএনও ও চেয়ারম্যানের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে অশ্লীল আচরণ করেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম জানান। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।