মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বদলি ও পদায়নে ঘুষ লেনদেন হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর শিক্ষাভবনে অবস্থিত শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
আজ মঙ্গলবার সহকারী পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযানের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুদকের ১০৬ অভিযোগ কেন্দ্রে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালন করে দুদক। এসময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দুদক টিমকে জানান, ‘দুর্নীতির কারণে বদলি ও পদায়ন কার্যক্রমে পুরোপুরি স্বচ্ছতা আনয়ন করা যাচ্ছে না।‘
তবে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে মহাপরিচালক অভিযোগকারী শিক্ষকদের সাথে সরাসরি শুনানির ব্যবস্থা করেছেন এবং তাঁর তত্ত্বাবধায়নে রক্ষিত অভিযোগ বাক্সে আসা অভিযোগসমূহ সমাধান করার চেষ্টা চালান।
দুদকের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে কোচিং ব্যবসায় জড়িত যে ২৫ জন শিক্ষকের তালিকা দেয়া হয়েছিল, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাইলে মহাপরিচালক জানান , তাদেরকে শাস্তিমূলকভাবে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদের ঢাকায় আসার কোনো আবেদন বিবেচনায় আনা হবে না। এসময় দুদক টিমের পক্ষ হতে দুর্নীতি রোধে মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে দুদককে জানানোর অনুরোধ করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনার বিষয়ে অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমা নঅনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুদকের এ অভিযান, এ সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত হলে এর প্রভাব পড়বে সব সেক্টরে।’