Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যথাযোগ্য মর্যাদায় জবিতে শিক্ষা দিবস পালিত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:১২ PM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:১২ PM

bdmorning Image Preview


জবি প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ শিক্ষা দিবস পালিত হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা।

পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলেচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি কিশোর কুমার সরকার।

কিশোর কুমার সরকার বলেন, শিক্ষাকে কোনভাবেই পণ্য করা চলবে না; কোনভাবেই শিক্ষার অধিকারকে সংকুচিত করা চলবে না এবং শিক্ষার সকল ব্যয়ভার বহন করবে রাষ্ট্র- এই দাবিগুলোকে সেদিন বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহরা। তাদের স্বপ্ন ছিল শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে কৃষক-শ্রমিকসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষের। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবারই অবদান আছে।

তিনি বলেন, বাস্তবতা হলেও আজ এটাই সত্য যে, তাদের স্বপ্ন আজও সত্যি হয়নি, বরং ক্রমে ক্রমে আরও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা-পূর্ব এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সমস্ত সরকারই শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণসহ আরও নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার সর্বজনীন চরিত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করে গেছে এবং সেই অপচেষ্টা চলমান আছে আজও। ইউজিসি-র প্রস্তবনা অনুসারে একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভ্যন্তরীণ আয়ের নামে শিক্ষাব্যয় বাড়ানো হচ্ছে; নামে বেনামে আরও নানান ফি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ঘাড়ে। অন্যদিকে ক্রমাগতভাবে কমানো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব করার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’। ২৭/৪ ধারা নামক কালো আইনের অধীনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যিকীকরণের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পর ছাত্র সমাজের তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার সেই কালো আইন বাতিল করতে বাধ্য হলেও, আবাসিক হল, পর্যাপ্ত পরিবহণ সুবিধা, গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দসহ ন্যায্য এবং গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ পূরণে কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।

বক্তা আরও বলেন, ৬২-র শিক্ষা আন্দোলনের শহীদদের রক্ত এবং শিক্ষা বৃথা যেতে পারে না। এ দেশের ছাত্রসমাজ তাদের রেখে যাওয়া শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে শিক্ষার অধিকার আদায়ের এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

তিনি এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের জমি অধিগ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আগামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মধ্যেই বাস্তবায়নের দাবি জানান।

Bootstrap Image Preview