স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় যুবকের সঙ্গে পুত্রবধূর অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় শাশুড়িকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আইনের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য নিজের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করেন পুত্রবধূ।
গত আগস্ট মাসে এ ঘটনা ঘটেছিল রাজবাড়ী জেলা সদরের বারবাকপুর গ্রামে। এতদিনে জানা গেল হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য।
জানা যায়, পুত্রবধূ স্বপ্না বেগম (২৫) ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল মিয়ার (৩৩) নৃশংসতার শিকার হতে হয় শাশুড়ি হাজেরা বেগমকে (৪৮)।
গতকাল রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে গত আগস্ট মাসের ১৬ তারিখে জেলা সদরের বারবাকপুর গ্রামের আলোচিত হাজেরা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেন পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি।
এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, গ্রেফতার স্বপ্না ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তার জবানবন্দি অনুযায়ী, গত ১৬ আগস্ট রাতে পুত্রবধূ স্বপ্নাকে নিয়ে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন হাজেরা বেগম। সেদিন রাতে স্বপ্নার পরকীয়া প্রেমিক সোহেল স্বপ্নার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় হাজেরা বেগম টর্চলাইট দিয়ে সোহেলকে দেখে চিনে ফেলে। পরে সোহেল বাইরে পাহারায় দাঁড়িয়ে থাকা কবিরকে ডেকে নেয়।
কবির হাজেরা বেগমের হাতে জখম করে। পরে কবির হাজেরা বেগমের দুই পা ও স্বপ্না দুই হাত চেপে ধরলে সোহেল হাজেরার বুকের ওপরে বসে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় যেন স্বপ্নাকে কেউ সন্দেহ না করে তাই সোহেল স্বপ্নার দুই হাতে জখম করে। পরে সোহেল ও কবির পালিয়ে গেলে স্বপ্নার চিৎকারে ছুটে আসে এলাকাবাসী।
ঘটনার পর ডিবি পুলিশ সোহেলকে শনাক্ত করে খুঁজতে থাকে। প্রায় মাস খানেক পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুর থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে জেলা সদরের আহলাদীপুর এলাকা থেকে সোহেলের সহযোগী কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। দুইজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বপ্নাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে উন্মোচন হয় এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য।