Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাদের সিদ্দিকীর ৭ দিনের আলটিমেটামে পুলিশের এজাহার সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:২০ PM
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:২০ PM

bdmorning Image Preview


কাদের সিদ্দিকীর সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়ার দিন পর মামলা থেকে তার (কাদের সিদ্দিকী) দলের নেতার নাম কেটে যুবদল নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন সখীপুর থানা পুলিশ

৭ সেপ্টেম্বর নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে সখীপুর থানার এসআই সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির ১৫ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর জুলফিকার শামীমসহ অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলা প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এক প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। এ সভায় দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম সখীপুর থানার ওসিকে ৭ দিনের মধ্যে তার দলের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার শামীমের নাম কেটে দেয়ার দাবি জানান। ওই প্রতিবাদসভায় তিনি তার দলের নেতাদেরসহ বিএনপির নেতাদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি

মামলা দায়েরের চার দিন পর পুলিশ এজাহার সংশোধন করে ওই মামলার আসামি থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর জুলফিকার শামীমের নাম বাদ দিয়েছে। তার নামের স্থলে উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি শামীম আল মামুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই মামলার ১৬ নম্বরের আসামির নাম লেখা হয় জুলফিকার শামীম। বাবার নাম মওলানা আবুল হোসাইন। ঠিকানা লেখা হয় সখীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড। নামটির সঙ্গে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম ও বাবার নাম হুবহু মিলে যায়। তবে মামলায় ওই নেতার ঠিকানায় ৪ নম্বর ওয়ার্ড লেখা থাকলেও ওই নেতার বাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবর রহমান জানান, তদন্ত করে মামলার এজাহার সংশোধন করা হয়েছে। ১৬ নম্বর আসামি হিসেবে জুলফিকার শামীম নামটি সংশোধন করে শামীম আল মামুন করা হয়েছে। বাবার নাম আবুল হোসেনের পরিবর্তে রাঙ্গু মিয়া লেখা হয়েছে। সংশোধিত আসামি শামীম আল মামুন উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি। তিনি বর্তমানে সখীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন।

পালিয়ে থাকা উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি ও নতুন আসামি শামীম আল মামুনের বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই মামলায় আমার নাম ছিল না। পুলিশ নিজেদের ওপর চাপ কমানোর জন্য অন্যায়ভাবে আমার নাম সংযোজন করে দিয়েছে।

সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন আলী বলেন, মামলায় কারো নাম পরিবর্তন করা হয়নি। যদি কেউ করে থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, এজাহার সংশোধন করা হয়নি। জুলফিকার শামীম আসামি আছে।

Bootstrap Image Preview