বাংলাদেশে রাসায়নিক জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আশঙ্কা থেকে দেশের হাসপাতালগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এর সত্যতা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
এই ধরণের হামলা হলে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জেলা ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে রাসায়নিক হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একটি বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা টিম গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই মর্মে সব বিশেষায়িত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক উপ-পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক কাম সিভিল সার্জনকে জানানো যাচ্ছে যে, জননিরাপত্তা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত গোপন প্রতিবেদনের আলোকে বাংলাদেশে সম্ভাব্য রাসায়নিক জঙ্গি হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাসমূহের নিম্ন উল্লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।’
ওই চিঠিতে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে- রাসায়নিক হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একটি বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা টিম গঠন করা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ওষুধ সীমিত আকারে মজুত রাখা। অ্যাম্বুলেন্স সচল রাখা। ওটি কমপ্লেক্সে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা জেনারেটর সচল রাখা। বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা টিমের সব সদস্যের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।