দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া দেশগুলোর জোট ‘দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ (বিমসটেকের) প্রথম সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না নেপাল। ভারতের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেপাল এখন ভারতকে কিছুটা এড়িয়ে চলতে চাইছে। ভারতে অনুষ্ঠেয় মহড়ায় যোগ না দেওয়ার মধ্য দিয়ে নেপাল সেই ইঙ্গিতই দিয়ে দিয়েছে।
আজ সোমবার ভারতের পুনেতে সপ্তাহব্যাপী এই মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছে নেপাল।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির মিডিয়া উপদেষ্টা কুন্দন আরিয়াল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা নেপাল সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
‘বিমসটেক’ বলতে বোঝায়, ‘দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’। এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভুটান।
দিল্লিতে ‘বিমসটেক’ দেশগুলোর সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর ওই সেনা মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য গত জুনে ভারতের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নেপালকে। কিন্তু তাতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে নেপালের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সেনা মহড়ায় নেপালের তরফে তিনজনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।
ওই যৌথ সেনা মহড়ার পর একটি সম্মেলন হওয়ার কথা ভারতীয় সেনাপ্রধানের উদ্যোগে। তাতেও নেপালের সেনাপ্রধানের যোগদানের সম্ভাবনা খুবই কম বলে কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন। কারণ সোমবারই নেপালের নতুন সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিচ্ছেন। তারপর তিনি হাতে যে সময় পাবেন, তাতে তাঁর পক্ষে ভারতীয় সেনাপ্রধানের আয়োজন করা সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে কূটনীতিকদের অনুমান।