আমাদের দেশে গ্রাম-গঞ্জে গাছ থেকে নারিকেল পাড়ে এক শ্রেণির পেশাজীবী মানুষ। কিন্তু থাইল্যান্ডে এ কাজে ব্যবহার করা হয় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক শ্রেণির বানর।
একটা বানর গাছ থেকে নারিকেল পেড়ে দিচ্ছে তার মালিককে। এটি থাইল্যান্ডের কোচ সামুই দ্বীপের একটি সাধারণ চিত্র। জি ব্যাপারটা অবাক মনে হলেও বংশ পরম্পারায় এই কাজটি করে আসছেন তারা। সেখানকার অনেক মানুষই তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন বানর দিয়ে।
ঠিক এমনই একটি বানর তার নাম চার্লি। বানরটি তার মনিবের কথা মতো প্রায় পঁচিশ ফুট উঁচু একটি নারিকেল গাছে উঠে যায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডে এবং সেখান থেকে খুব দক্ষতার সাথে একে একে নারিকেল ছিড়ে মাটিতে ফেলতে থাকে।
শুধু পাড়ে না, নিচে পড়া সেই নারিকেল মনিবের হাতেও তুলে দেয়। আর বানর যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বানরের গলায় লাগানো থাকে দড়ি। আর এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে থাইল্যান্ড দ্বীপের কিছু মানুষ!
এক গাছের নারিকেল পাড়া শেষ হলেই অন্য গাছে লাফিয়ে চলে যায় বানরটি। গাছ থেকে শুধু নারিকেল পাড়াই বানরের কাজ নয়। নিচে পড়া নারিকেলগুলো সব জায়গা থেকে কুড়িয়ে গুছিয়ে তার মনিবের কাছে নিয়ে যেতে হয় তাকে।
কাজের মাঝে এই বানর যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য গলায় বেঁধে রাখা হয় লম্বা একটি দড়ি, যার অপর প্রান্ত থাকে বানরের মনিবের হাতে।