Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভোটের লড়াইয়ে বিজেপি ও তৃণমূল, ভরসা এনআরসি !

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৭ AM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৭ AM

bdmorning Image Preview


ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈরতিক দলগুলোর সামনে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ এনআরসি বির্তক। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজনৈতিক দল শনিবার থেকে এনআরসি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। গ্রামগঞ্জ চষে বেড়াচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কাজে লাগাতে চায় এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনকে।

আগামী ১৫ দিন ‘টি-টোয়েন্টি ফর্মুলা’ নিয়ে মাঠে থাকবে তারা। ২০ জন করে একটি দল এলাকায় এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এনআরসির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। এনআরসি চালু হলে কতটা উপকার পাবেন রাজ্যের উদ্বাস্তু আর শরণার্থীরা, কী অবস্থা হবে অনুপ্রবেশকারীদের, তাদের আর এই রাজ্যে স্থান দেওয়া হবে না—এসব যুক্তি নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপির কর্মী বাহিনী।

তৃণমূলও নেমে পড়েছে প্রচারে। তৃণমূলের এই নারী বাহিনী জনগণকে বলছে, এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পঞ্চায়েতের ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছেন নারীদের জন্য। নারী উন্নয়নের জন্য চালু করেছে ‘কন্যাশ্রী’, ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। আর শুধু কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য চলতি বছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি রুপি। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার এই ১২৫ কোটির দেশে ‘বেটি বাঁচাও ও বেটি পড়াও’ ও ‘উজ্জ্বলা যোজনার’ জন্য বরাদ্দ করেছে মাত্র ১০০ কোটি রুপি! পশ্চিমবঙ্গে ৬০ লাখ নারীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মেয়েদের বিয়ের জন্যও চালু করা হয়েছে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প।

তৃণমূলের এই প্রচারের জবাব দিয়েছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, তৃণমূল আসলে নারীদের ভাঁওতা দিচ্ছে। কেন্দ্রের সব উন্নয়ন প্রকল্প সব রাজ্যেই পৌঁছাচ্ছে। আর এ রাজ্যে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছাতে দেয় না। সরকারি অফিসে গেলে আগে তাঁরা জানতে চান, তাঁরা তৃণমূল করেন কি না।

Bootstrap Image Preview