Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ফেসবুকসহ ১০ প্রতিষ্ঠান!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৩০ AM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৩০ AM

bdmorning Image Preview


ফেসবুকসহ ১০ প্রতিষ্ঠান চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। এই ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ এনে মামলা করেছে একদল চাকরিপ্রত্যাশী। অভিযোগে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করার পর তা শুধু পুরুষ ব্যবহারকারীরা দেখতে পেয়েছে, নারীদের কাছে পৌঁছায়নি।

তিন নারী কর্মী এবং কমিউনিকেশনস ওয়ার্কার্স অব আমেরিকা নামের কর্মী ইউনিয়ন মামলাটি করে। তাঁদের মধ্যে লিন্ডা ব্র্যাডলি নামের এক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ‘আমি শুনেছি, আগে মানুষ যখন চাকরি খুঁজত, তখন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে বড় বড় অক্ষরে পুরুষ কিংবা নারী চাই লেখা থাকত। আমি দেখে খুবই অবাক হয়েছি যে এখনো সেই বৈষম্য করা হয়, পার্থক্য এই যে আগে পত্রিকায় হতো, এখন হয় অনলাইনে। শুধু নারী বলেই আমাকে একটা কাজের খোঁজ দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হবে, এমনটা হওয়া উচিত না।’

অভিযোগ শুনে এক ফেসবুক মুখপাত্র ই-মেইলে জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকে বৈষম্যের কোনো জায়গা নেই। আমাদের নীতিতেই এটা নিষিদ্ধ। বছরের পর বছর ধরে আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার কমিয়ে আনতে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা অভিযোগটি খতিয়ে দেখছি এবং এখানেও আমাদের নীতির প্রতিফলন থাকবে।’

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ‘ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপনে বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সুযোগ পান নিয়োগদাতারা। এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ফলে তা থেকে আয়ও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।’ চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্ল্যাটফর্মের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক। জাতীয়তা, বয়স ও লিঙ্গভেদে কোনো বৈষম্য করা হচ্ছে কি না, তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লিঙ্গবৈষম্য করা মার্কিন আইনে নিষিদ্ধ। পিটার রোমার ফ্রিডম্যান নামের এক আইনজীবী বলেন, ‘ইন্টারনেট আসায় আমাদের নাগরিক অধিকারের আইন মুছে ফেলেনি। কোনো নিয়োগদাতা যদি ফেসবুক ব্যবহার করে নারীদের বাদ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়, তবে তা আইনের পরিপন্থী। আমি যত দূর জানি, একজন ট্রাকচালক কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা হতে হলে আপনাকে পুরুষ হতে হবে না। তবু ফেসবুক ও নিয়োগদাতারা এমন আচরণ করছে, যেন এটা ১৯৫০-এর দশক।’

 

Bootstrap Image Preview