রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে আবদুল কুদ্দুস (৩০) নামে একব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক। একইসাথে মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল কুদ্দুস (৩০)রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, এই মামলায় কুদ্দুস ও তার মা মাসেকা বেওয়াসহ (৫০) চারজন আসামি ছিলেন।
তিনি আরও জানান, ২০০৫ সালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাস আলী প্রামাণিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের (২৪) বিয়ে হয়েছিল কুদ্দুসের। বিয়ের পর কুদ্দুস যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন।
২০১১ সালের ৪ঠা নভেম্বর কুদ্দুস তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন শামিমা আক্তারের বাবা আক্কাছ আলী।
পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে কুদ্দুসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়