দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে 'বাংলাদেশ উন্নয়নমেলা' অনুষ্ঠিত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর আনসান সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল  ও আনসান সিটি গভর্মেন্টের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মত 'বাংলাদেশ উন্নয়নমেলা-২০১৮' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এই মেলায় কোরিয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, ইপিএসকর্মী, কোরিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ ও কোরিয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি নাগরিক ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।

আনসান সিটির গিয়ংগি টেকনো পার্কে বিকাল ৩ ঘটিকা হইতে ৫ঘটিকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মেলায় আনসান সিটি গভর্মেন্টের ভাইস মেয়র জিন সো লি (Jin-Soo Lee)  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মেলার শুরুতেই উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক সজ্জা, জাতীয় পতাকার রঙের মিশ্রণে পরিহিত ছায়া টুপি, রঙ-বেরঙয়ের ফেস্টুন ও ব্যানার ছিল অত্যন্ত আকর্ষনীয়।

বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি সার্বিক চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থিত সকলের নিকট তুলে ধরেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত ২০২১ ও ২০৪১ সালের মধ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই বাংলাদেশ উন্নয়নমেলায় সহযোগিতার জন্য আনসান সিটি মেয়র, ভাইস মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের আয়োজনের ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।  

বিশেষ অতিথি আনসান সিটি গভার্মেন্টের ভাইসমেয়র জিন সো লি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আকর্ষনীয় বলে মতামত প্রকাশ করেন।

তিনি কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের যেকোন ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

মেলা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস সিউলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত ও রপ্তানিযোগ্য সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের নকশীকাঁথা, শাড়ি, পাটজাত পণ্য, চা, গার্মেন্টস, মৃৎশিল্পসহ নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া পর্যটন বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের তথ্য সরবরাহ ও লিফলেট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের প্রাণবন্ত উপস্থাপন করা হয় সেই সাথে উন্নয়ন বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে স্থানীয়দের নিকট উপস্থাপনের লক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয় যা সকলেই উপভোগ করেন।

সবশেষে বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবার দিয়ে অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি কোরিয়ান নাগরিক ও উপস্থিত বাংলাদেশিদের মধ্য ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়।