Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

এই ৫ নারীর ছিনতাইয়ের ধরণ একটু ভিন্ন!

ক্রাইম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫০ AM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫০ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হয় সবকিছুরই। সেই সূত্র ধরেই অভিনব কৌশলে ছিনাতাইয়ে নেমেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই গ্রামের পাঁচ নারী ছিনতাইকারী। ছিনতাই করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার থেকে রাজশাহীতে এসেছিলেন তারা। সেখানে ছিনাতাই করার সময় ধরা পড়েন ঐ পাঁচ নারী।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আটকের এ ঘটনা ঘটে। তাদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ছিনতাইকারীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ধরমন্ডল গ্রামের কোকন মিয়ার স্ত্রী সোলেমা খাতুন (২৫), নাসির মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (২২), মনির মিয়ার স্ত্রী রিনা খাতুন (২০), এহিয়ার স্ত্রী রিফুজা খাতুন (২০) ও কামরুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম (২৬)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই পাঁচ ছিনতাইকারীর সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা রয়েছে। গলার চেইন চুরি ও ছিনতাই করতেন তারা।

এছাড়া, এই পাঁচ নারীর নামে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী রাজশাহী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রায়হানা আক্তার জাহান। তার বাড়ি নগরের মহিষবাথান এলাকায়।

মামলার এজাহারে রায়হানা আক্তার জাহান বলেছেন, গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার সময় নগরের হড়গ্রাম বাজারের দিগন্তপ্রসারী ক্লাবের মোড়ে থেকে তিনি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। তাঁকে রিকশায় উঠতে দেখে সেখানে অপেক্ষমাণ আরও পাঁচজন নারী যাত্রী অটোরিকশায় ওঠেন। তখন তিনি এত যাত্রীর সঙ্গে যেতে আপত্তি করেন। তিনি সাধারণত একাই একটি অটোরিকশা নিয়ে যান। তাকে আপত্তি করতে দেখে ওই নারীরা কেউ তাকে আন্টি, কেউ তাকে দাদি সম্বোধন করে বলতে থাকেন, ‘চলেন, এইটুকু রাস্তা একসঙ্গেই যাই।’ তারপর তিনি সম্মত হন।

রিকশাটি ক্লাবের মোড় থেকে প্রায় ১০০ গজ দক্ষিণে উকিলবারের মেইন গেটের সামনে যেতেই এই পাঁচ নারীর মধ্যে রায়হানা আক্তার জাহানের পাশে বসা একজন নারী তার পিঠের দিকে হাত দেন। তিনি প্রথমে মনে করেছেন, চাপাচাপি করে বসার কারণে এমনটি হচ্ছে। পরপর তিনবার হাত দেওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন, নারীটি তার গলার চেইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। রিকশা থামাতে বলেন। আর মেয়েটির হাতের ওপর তিনি তার ছাতা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এরই মধ্যে পাঁচ নারী তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে বলেন, কাকে কী বলছেন, তারা এই ধরনের মানুষ নন। চিৎকার করার সময় তাদের একজন তার গলা চেপে ধরেন। একজন চাকু বের করেন। রিকশা থামার সঙ্গে সঙ্গে তারা নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে টহল পুলিশ ছিল। তারা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে।

এ সময় এই নারীরা বলেন, তারা কেউ কাউকে চেনে না। তখন তিনি প্রতিবাদ করে বলেছেন, তারা একই দলের মানুষ। একই সঙ্গে রিকশায় উঠেছেন। এ সময় তাদের দেখে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর ফেরদৌসী বলেন, কিছুক্ষণ আগে তিনি এই পাঁচজনের সঙ্গে সাহেববাজার থেকে এখানে এসেছেন। তাদের আচরণ তার সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এরা দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। তারা গতকাল সকালেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে রাজশাহীতে নেমেই ছিনতাইয়ে নেমেছিলেন।

Bootstrap Image Preview