ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি ও পিওন নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি ও বড় অংকের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্য প্রার্থীরা নিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার নিশ্চিত আশঙ্কায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হলে ১৯জন প্রার্থী আবেদন করেন।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহাজাহান আলী আলামপুর গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে আঃ সামাদ কে চুড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করে গত ০৯-০৯-২০১৮ ইং তারিখে বাসায় ডেকে নিয়ে আঃ সামাদের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে।
এ সময় কমিটির অন্যান্য সদস্য অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উক্ত টাকার মধ্যে ৪ লক্ষ টাকা গত ১০-০৯-২০১৮ ইং তারিখে স্কুল কমিটির স্থায়ী সদস্য আঃ মালেক ও প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকের যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংক, কোটচাঁদপুর শাখায় রাখা হয়েছে। বাকি টাকা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক সহ সংশিষ্টরা নিয়োগ দাতাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গত ৩/৪ মাস পূর্বে এই বিদ্যালয়ে একজন পিত্তনও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রেও ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১জন প্রার্থীর নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয় ।কিন্তু এ নিয়োগের জন্য কোথায় নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছে বা নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে কিনা তা অন্য প্রার্থীরা জানে না। শুধু তাদের সাজানো প্রার্থীরাই (অন্য ৩জন) নাকি বিষয়টি জানেন।
প্রকৃত প্রতিযোগি প্রার্থী মোঃ লিটন, পিতা আনিছূর রহমান সাং (মেইন) আলামপুর কে ইন্টাভিউ সম্পর্কে কোন চিঠি প্রদান করা হয়নি। গোপনে অজ্ঞাত স্থানে নিয়োগের কাগজপত্র অবৈধভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ শাহাজান আলীর সাথে আলোচনা করলে তিনি অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন।