Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভেষজ গূণ সম্পন্ন উদ্ভিদ ডুমুর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৮ AM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৮ AM

bdmorning Image Preview


ডুমুর একটি খুবই পরিচিত ফল। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ডুমুরের গাছ দেখা যায়। এই ফল কাঁচা অবস্থায় অতি উন্নত সবজি। শুধু ডুমুর বা অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিলিয়ে ডুমুরভাজি অথবা এর ভর্তা উপাদেয়। এ ছাড়া ছোট মাছের সঙ্গে ডুমুরের ঝোলও রাঁধা হয়।

ডুমুর শুধগু যে সবজি হিসেবে খাওয়া হয় তা নয় একটি উচ্চমানের একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অতীতকাল থেকেই ব্যভার হয়ে আক্সছে ডুমুরের পাতা, কাঁচা ও পাকা ফলএর নির্যাস, বাকল, মূল প্রভৃতি । প্রতি ১০০ গ্রাম ডুমুরে রয়েছ খাদ্যশক্তি ৩৭ কিলোক্যালরি, ১২৬ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিনসহ ভিটামিন এ, বি, সি ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, গুটিবসন্ত, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, কিডনি ও মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধি, সর্দি-কাশি, ফোড়া বা গ্রন্থস্ফীতি (টিউমার) ও স্ত্রীরোগের চিকিৎসায় জগডুমুর কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এর পুষ্টি উপাদান হচ্ছে প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৮৮ দশমিক ১ গ্রাম, খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৬, হজমযোগ্য আঁশ ২ দশমিক ২, খাদ্যশক্তি ৩৭ গ্রাম, আমিষ ১ দশমিক ৩, চর্বি শূন্য দশমিক ২, শর্করা ৭ দশমিক ৬, ক্যালসিয়াম ৮০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ দশমিক ১ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৬২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১ শূন্য দশমিক শূন্য ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ শূন দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম।

ডিকে পাবলিশিংয়ের ‘হিলিং ফুডস’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, সতেজ ও শুকনো ডুমুর খাওয়া যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর। এ ছাড়া পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখার পাশাপাশি হাড় মজবুত রাখে। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য এটি দারুণ খাবার।

চলুন জেনে নিন ডুমুর শরীরকে কীভাবে ভালো রাখতে সক্ষম।

ত্বকের জন্য উপকারী: ডুমুরের ঔষধি ফোঁড়া ও চর্মরোগ নিরাময়ে বেশ কাজ দেয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শরীরের জন্য দরকারি ফাইবার। এ ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া বা অন্য কোনো রকম পেটের গোলযোগ সহজে হতে দেয় না।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: রীরে মেদ কমাতে ডুমুর খুবি উপকারী। এর ফাইবার মেটাবলিজমকে ঠিক রাখে এবং শরীরে অকারণ মেদ জমতে দেয় না।

উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে, নিয়মিত ডুমুর ফল খেতে পারেন। আমাদের শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সামঞ্জস্য রক্ষা হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা কম হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ডুমুরে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলস নষ্ট করে। এতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে। শুকনো ডুমুর রক্তের ট্রাইগ্লিসারিডসকে কমায়।

হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখে: ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আয়রন কমে গেলে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায়, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ডুমুর আমাদের শরীরে আয়রনের পরিমাণকে স্বাভাবিক রাখে।
 

Bootstrap Image Preview